আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে তর্পণ চলছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। আর একসপ্তাহ পর গোটা রাজ্য মেতে উঠবে শারদ উৎসবে। এই আবহে আবার আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বাড়িতে গেল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, আজ বুধবার দুপুরে সিবিআই অফিসারদের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল পৌঁছেছেন সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে। বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সিবিআই অফিসারদের। সেগুলি যাচাই করতেই মহালয়ার দিন নির্যাতিতার বাড়িতে গেল সিবিআই।
কিন্তু তথ্যপ্রমাণের বিষয়গুলি সম্পর্কে মুখ খোলেননি সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তবে নির্যাতিতার বাবা–মা বিষয়গুলি জানেন। তাঁরাও তদন্তের স্বার্থে এসব বাইরে আনতে চাইছেন না। আরজি কর হাসপাতালে যাতায়াত করার পর নতুন কিছু তথ্য হাতে পান সিবিআই গোয়েন্দারা। যা নিয়ে নির্যাতিতার বাবা–মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলিয়ে নিতে চান তাঁরা। আর তাই আজকের এই ঝটিকা সফর। এমনকী সেই তথ্যের বাইরে নিহত ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা–মার কাছে অন্য কোনও তথ্য রয়েছে কিনা সেটাও জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘সিবিআইয়ের উচিত এঁদের গ্রেফতার করা’, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে সরব কুণাল
সময় হাতে বেশি নেই। দুর্গাপুজো মিটলেই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সেদিন আরও একদফা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাই তদন্ত করার পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ যা উঠে আসছে সেগুলি খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে সিবিআই। কারণ সেসব আদালতে জমা দিতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআইকে দেওয়া চিঠির সঙ্গে সংগৃহীত তথ্য ও বয়ান মিলিয়ে দেখতে আবার বাবা–মায়ের মুখোমুখি হয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করতে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলে যান গোয়েন্দারা। তারপরই আজ তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছেছেন।
আজকে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআইয়ের যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে আসে জুনিয়র ডাক্তারদের সই করা নথি। সেই নথি ছিল ওই নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের এবং হাসপাতালের যে ঘর সংস্কার করা হচ্ছিল তার। তাতে বেশ বিপাকে পড়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সেই ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যে জুনিয়র ডাক্তাররা সই করেছিলেন ময়নাতদন্তের নথিতে এবং নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজে তাঁরা এখন নীরব হয়ে রয়েছেন। আবার তাঁরাই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। এঁদেরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত। কেন এই দু’রকম খেলা? কারা এর পিছনে আছে অবস্থান পরিবর্তনে? সিবিআইয়ের উচিত এঁদের গ্রেফতার করা।’