আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে এখন গোটা রাজ্য উত্তাল। এই অভিযোগের জেরে প্রতিবাদ–আন্দোলন–ধরনা–স্লোগান সবই চলছে। তবে এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিরোধীরা এই ইস্যুতে তুমুল আওয়াজ তুলেছেন। তাই এবার বিরোধীদের ‘কুত্তা’ বলে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেনজির আক্রমণ করলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। আর সাংসদের এই মন্তব্য নিয়ে যেমন বিতর্ক দানা বেঁধেছে তেমন জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
প্রায় ২০ দিন হয়ে গেল। এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি সিবিআই তদন্তের বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই শহর থেকে গ্রামবাংলার বহু দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফেরত দিতে চেয়েছেন। এই বিষয়টি কানে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের। তার প্রেক্ষিতেই আজ, রবিবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অরুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘এরা কুত্তার মতো গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে। এরা অনেক বেড়ে গিয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচার করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আর বলছে আমরা কন্যাশ্রী, একশো দিনের কাজের টাকা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুর্গাপুজোর অনুদান চাই না। হিম্মত থাকলে এদের নিয়ে মিছিল করে দেখাও। তাহলে বাপের বেটা বলব।’ একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের প্রতি সাংসদের পরামর্শ, ‘আপনাদের একটু ফোঁস করতে হবে বন্ধু’। এটা মুখ্যমন্ত্রীও মেয়ো রোড থেকে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘আমরা সিবিআইয়ের অফিস ঘেরাও করব’, এবার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক
লড়াই–আন্দোলনের মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। সিপিএম– বিজেপিকে একসারিতে দাঁড় করিয়ে আক্রমণ করেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, ‘সিপিএম কাস্তে হাতুড়ি দেখিয়ে লাল ঝান্ডা জিন্দাবাদ বলে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ওদেরকে ফোঁস করুন। দেখবেন কুকুরের মতো পালিয়ে যাবে। শিয়ালের মতো দৌড়বে। এখন কাস্তে হাতুড়ি দেখাচ্ছে। আর নির্বাচনের সময় বিজেপিকে ভোট দেবে। তাই বাংলাকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জাগুন। নিজের বিবেককে জাগান। প্রতিবাদে নেমে পড়ুন।’
ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন। পাল্টা সিবিআই দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালতীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বিরোধীদের কুকথায় আক্রমণ করলেন। সাংসদের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ সুভাষ সরকারের কথায়, ‘সারা রাজ্যের পাশাপাশি যেভাবে বাঁকুড়ার মানুষ প্রতিবাদে নেমেছে তাতে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে সাংসদের। প্রতিবাদের জেরে ঘুমিয়ে গিয়েছে তাঁর দলের কর্মীরাও। দলের কর্মীদের জাগাতে এখন তাই সাংসদকে ফোঁস করতে বলতে হচ্ছে। এখন কেউ বিষ দাঁত দেখাতে এলে মানুষই বিষ দাঁত ভেঙে দেবে।’