৯ ফেব্রুয়ারি আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের ৩২তম জন্মদিন ছিল। সেই দিন মেয়ের স্মৃতির উদ্দেশে তাঁরই প্রিয় গাছের চারা পুঁতলেন মা। নির্যাতিতার মা জানান, তাঁর মেয়ে বাড়ির ছাদে কমলা রঙের বোগেনভিলিয়া গাছ লাগাতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই আশা আগে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে মেয়ের মৃত্যুর ৬ মাস পরে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে সেই গাছ লাগালেন মা। টবে গাছটা পুঁতে নির্যাতিতার মা বলেন, 'আর তো ওর জন্মদিনে কিছু দিতে পারব না ওকে। তাই ওর ইচ্ছেটা পূরণ করলাম।' নির্যাতিতার মা জানান, তরুণী চিকিৎসক ছোটবেলা থেকেই গাছ এবং নানা রঙের ফুল পছন্দ করতেন। (আরও পড়ুন: মালদাকাণ্ডের স্মৃতি ভোলেনি সরকার, মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে সতর্কবার্তা ব্রাত্যর)
আরও পড়ুন: যেভাবে হাসিনাকে সরাতে টাকা দিয়ে থাকতে পারে US AID, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের আগে শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত: রিপোর্ট
৯ ফেব্রুয়ারি আরজি করের নির্যাতিতার স্মৃতিতে আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে গিয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা। তরুণীর জন্ম হয়েছিল বেলা ১২টায়। সেই সময় তাঁর মা-বাবা স্বাস্থ্য শিবিরে আগতদের উদ্দেশে আবেদন করেন, বিচারের লড়াই যেন আরও জোরদার করা হয়। এদিকে তরুণীর জন্মদিনে বাড়িতে গুড়ের পায়েস রান্না হত। সেই স্মৃতিচারণায় নির্যাতিতার মা জানান, মেয়ে ডাক্তারি পাশ করার পর থেকে আর তাঁর জন্মদিনে বাড়িতে রান্না হত না। শুধু রীতি মেনে পায়েশটাই মা রান্না করতেন। বাকি খাবার বাইরে থেকে অর্ডার করতে চরুণী চিকিৎসক। (আরও পড়ুন: DA নিয়ে সুখবর দিয়েছিলেন CM, তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বেতনই ঢুকছে না)
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বর নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে বদহজম,'ব্যর্থতা ঢাকতে' বাংলাদেশ বলছে…
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক, চলবে স্পেশাল বাস, জেনে রাখুন জরুরি হেল্পলাইন নম্বর
এদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে আমরা আছি। তরুণী চিকিৎসকের পরিবার এখনও বিচার পায়নি। আমরা সবাই বিচার চাই। কলকাতা পুলিশ প্রমাণ লোপাট করেছে। নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার সঠিক বিচার না পেলে এই সরকারকে কীভাবে বিসর্জন দিতে হয়, তা মানুষ জানে।' শুভেন্দু আরও বলেন, 'নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা যা বলছেন, সব ঠিক বলছেন। বাবা-মাকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরা মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন। বলেছেন, রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া যেখানে ডাকবে, সেখানে যাবেন। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষের এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত।'