আরজি কর কাণ্ড নিয়ে 'উত্তাপ' হয়ত কিছুটা কমেছে। তবে এই ইস্যুতে তরজা এখনও থামেনি। মানুষের মনে এখনও দগদগে ক্ষত হয়ে রয়ে গিয়েছে এই ঘটনা। এরই মাঝে একাধিক ক্ষেত্রে মহিলাদের ভয় দেখাতে 'আরজি কর করে দেওয়ার' হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের সুপার। এই নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামকে ইমেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, ডিউটি নিয়ে মতান্তরের কারণে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। (আরও পড়ুন: 'দলে দু’রকমের মত রয়েছে...', মমতার মন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তিতে চরমে জল্পনা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক মাস আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বদলি হয়ে এসেছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। তিনি প্যাথোলজি বিভাগে কর্মরত। তবে তাঁর সঙ্গে ডিউটি রস্টার নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় হাসপাতাল সুপারের। সেই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ ছিল, তাঁকে প্যাথলজির বদলে রোজ আউটডোর, ইনডোর ও ইমারজেন্সি বিভাগে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। কিছু গুরুতর অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁকে বেগ পেতে হচ্ছে। এই বিষয়টি হাসাতাল সুপারকে জানিয়েছিলেন সেই চিকিৎসক। এই আবহে তাঁর আর্জি ছিল, ইমারজেন্সি বিভাগে এত ঘন ঘন ডিউটি না দিয়ে তাঁকে যেন প্যাথলজি বিভাগেও কাজ করতে দেওয়া হয়। এই আবহে দুই পক্ষের মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই সময়ই নাকি হাসপাতাল সুপার নাকি সেই চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে বলেন, 'আমার কথা না মানলে দ্বিতীয় অভয়া কাণ্ড ঘটে যাবে'।
জানা গিয়েছে, সেই মহিলা চিকিৎসক নিজের কন্যা এবং মাকে নিয়ে থাকেন। সুপারের হুমকিতে আতঙ্কিত সেই চিকিৎসক শান্তিপুর থানা ও স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি। এই আবহে ডক্টরস ফোরামকে ইমেল করেন সেই মহিলা চিকিৎসক। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এদিকে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার। তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ নিয়ে এত চর্চা, বিতর্ক হল, সেখানে সেই ঘটনার উল্লেখ করে এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের নিরপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। তবে শান্তিপুরের ঘটনায় পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতর নিষ্ক্রিয় থেকেছে বলে অভিযোগ।