আবার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। কালীপুজোর প্রাক্কালে পথ দুর্ঘটনায় শনিবার মৃত্যু হল চারজনের। ঘাটাল থেকে দিঘার উদ্দেশে যাওয়ার পথে এই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার মুখে পড়ল একটি গাড়ি। মেচেদা হয়ে জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় নিমতৌড়ির কাছে দুই সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। আসলে ততক্ষণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ছুটছিল গাড়িটি। তারপর একটি গাছে ধাক্কা মারে। আর গাড়িটি নয়নজুলিতে উল্টে যায়। ভয়াবহ এই পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে হলদিয়া মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে তমলুক থানার ভান্ডারবেড়িয়া এলাকায়।
এদিকে ঘাতক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারতেই সব ওলটপালট হয়ে যায়। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই সাইকেল আরোহীর। এই পথ দুর্ঘটনায় আহত হন একাধিক ব্যক্তি। এই পথ দুর্ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। পথ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে আরও দু’জন মারা গেলে সংখ্যা ৪ জনে পৌঁছয়। শনিবার বেশি রাতে মেচেদার দিক থেকে একটি গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। ভান্ডারবেড়িয়ার কাছে তিনজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে একটি গাছে ধাক্কা মারে। তার পর উল্টে যায় নয়নজুলিতে। গাড়ির গতিবেগ তীব্র ছিল বলেই গাছে ধাক্কা লাগতেই গাড়ির ইঞ্জিন খুলে বেরিয়ে যায়। আর চারজনের মৃত্যু হয়। দু’জন স্থানীয় এবং বাকি দু’জন ওই গাড়ির আরোহী। মৃত দুই গাড়ির আরোহীর মধ্যে একজন মহিলা আছেন।
আরও পড়ুন: ‘ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী আমি’, অধিকারের দাবিতে ডেরায় বিলকিস
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বেশি রাতে একটি গাড়ি মেচেদা থেকে দিঘার দিকে তীব্র গতিতে যাচ্ছিল। মেচেদা–হলদিয়া ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তমলুক থানার ভান্ডারবেড়িয়ার কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তিনজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে ঘাতক গাড়িটি। এমনকী রাস্তার ধারে একটি গাছে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। তারপর নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। গাছে ধাক্কা মারার পরে ব্যাপকভাবে আহত হন গাড়ির যাত্রীরা। তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ির ভিতরে দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিলেন গাড়িটির চালক।
এছাড়া ওই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পথ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তমলুক থানার পুলিশ। আর ওই গাড়িটিকে উদ্ধার করে তমলুক থানায় নিয়ে যায়। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও মেলেনি। তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের পরিচয় মিলেছে। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম রাজেন্দ্র সামন্ত, আর একজনের নাম প্রশান্ত রায়। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আজ, রবিবার সকাল থেকে সেই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে।