আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করছেন। আর এই উৎসবের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার আলোর উৎসবে নেমে এল অন্ধকার। কালীপুজোর দিন সকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির মালবাজারে। জাতীয় সড়কে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক অন্তঃসত্ত্বা–সহ তিনজনের। মালবাজার ও চালসার মাঝামাঝি সাতখাইয়া এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
এদিকে এই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার বোনও। আজ বৃহস্পতিবার মালবাজারে সাতখাইয়া মোড়ের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা–বাগান থেকে চালসা যাওয়ার সময় মালবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, তাঁর বোন এবং আত্মীয়–সহ ৫ জন। অন্তঃসত্ত্বাকে মালবাজারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আনছিল বাড়ির সদস্যরা। চালসা পার করে সাতখাইয়া এলাকায় গাড়িটি পৌঁছতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক সংঘর্ষ। মালবাজারের দিক থেকে আসা কাগজবোঝাই গাড়ি মুখোমুখি ধাক্কা মারলে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে ধরনায় বসলেন মহিলা এসআই, নাদিয়াল থানা তোলপাড়
অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর বোনের মৃত্যুর পাশাপাশি গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মানুষজন পুলিশকে ক্ষোভ দেখায় বলে সূত্রের খবর। কারণ ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটত না বলে অনেকে মনে করছেন। পুলিশ ঘাতক গাড়ির চালকের খোঁজে তল্লাশি করছে। ওই ঘাতক গাড়ির গতি বেশি থাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে চালক মদ্যপ ছিল কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। পথ দুর্ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেই জাতীয় সড়কের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
এছাড়া এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালবাজার এবং মেটেলি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে মেটেলি থানার পুলিশ। তারপর তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। গাড়ি দুটি আটক করে নিয়ে গিয়েছে মালবাজার থানার পুলিশ। এই পথ দুর্ঘটনায় দীপাবলির দিন শোকের ছায়া নেমে এসেছে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান এলাকায়। কালীপুজোর দিনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই পরিবারে। যা নিয়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।