রামনবমীর মিছিল থেকে রিষড়ায় অশান্তি তৈরি হয়েছিল। সেটা সাময়িক থামলেও রাতভর অশান্তি দেখলেন রিষড়াবাসী। আজ, মঙ্গলবার সকালে রিষড়ায় থমথমে পরিস্থিতি দেখা যায়। এমনকী সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। মৈত্রীপথ সন্ধ্যা বাজার বড় মসজিদ এলাকায় বিশাল জমায়েত দেখা গিয়েছে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মহিলারা। পুলিশের ধরপাকড় বন্ধ করার দাবিতেই এই বিক্ষোভ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে রিষড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি হুগলির রিষড়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সেখানের জনজীবন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ না কাটায় রাতভর টহল দেয় পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরপাকড় চলছে রোজই। এই উৎকণ্ঠায় রাতভর ঘুম আসে না। এখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রিষড়ার মৈত্রীপথ সন্ধ্যা বাজার বড় মসজিদ এলাকায় ও জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা।
কেন বিক্ষোভ দেখান মহিলারা? বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, পুলিশ নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরও মারধর করছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাতভর ধরপাকড় চালাচ্ছে। তার জেরে ভয়ে কেউ ঘুমোতে পারছে না। আতঙ্কের মধ্যে দিন–রাত থাকতে হচ্ছে। পুলিশের এই ধরপাকড় বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। একই সঙ্গে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান বাসিন্দাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নিতে বললে একঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। জিটি রোড অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজার এলাকায় বড় জমায়েত ছিল। গরমের মধ্যেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। রিষড়া এলাকায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়তি পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় ঘন ঘন টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চন্দননগর পুলিশ, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশকেও ডাকা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup