ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের ফকিরডাঙা পাড়া। বাসিন্দাদের দাবি বুধবার সন্ধ্যা থেকে এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। এদিকে রাতভর বৃষ্টিতে এলাকার রাস্তায় জল জমে যায়। জল বাড়ির মধ্যেও ঢুকে যায়। এমনকী তুমুল বৃষ্টির জেরে মাটির বাড়িগুলিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় জনপ্রতিনিধিদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই ভাতারের জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। মিনিট ১০-১৫অবরোধে চলে বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি নানাভাবে আশ্বস্ত করেন বাসিন্দাদের। পুলিশও এসে বাসিন্দাদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।এরপরই অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের দাবি, আচমকা বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অনেকের মাথাতেই আকাশ ভেঙে পড়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা। তবে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলি সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে এদিন অবরোধ করতে গিয়ে করোনা বিধি কার্যত লাটে ওঠে। অধিকাংশ বাসিন্দাদের মুখেই মাস্কের কোনও বালাই ছিল না। এর জেরে সংক্রমণ বৃদ্ধিরও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।