সাউন্ড বক্স বাজিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের জমজমাট আয়োজন করা হয়েছিল। এভাবেই শোভাযাত্রা করে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে বলে মনে করে পুলিশ। তাই এই পরিকল্পনায় বাধা দেয় ভাটপাড়ার পুলিশ। বক্স বাজানোয় বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পুজো উদ্যোক্তারা। তখন রাস্তা অবরোধ করেন পুজো উদ্যোক্তারা। ভাটপাড়া রায় স্টুডিও মোড়ের রাস্তা অবরোধের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে ভাটপাড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচদিন দুর্গাপুজো শেষে কৈলাসে ফিরছেন উমা। তাই পুজো উদ্যোক্তারা বিসর্জনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্স বাজিয়ে দেদার নাচ–গানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এই পরিকল্পনায় বাধ সাধল পুলিশ। আর তাতেই ক্ষেপে উঠলেন পুজো উদ্যোক্তারা। তুমুল পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। এমনকী হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপর শুরু হল রাস্তা অবরোধ। ভাটপাড়া রায় স্টুডিও মোড়ে অবরোধের জেরে ঘোষপাড়া রোড দিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর সেখানে কী ঘটল? ভাটপাড়ায় পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বচসার জেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাটপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং ভাটপাড়া পুরসভার উপ–পুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ। আর সকলকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন উপ–পুরপ্রধান। অবরোধকারী এবং পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাঝে সাউন্ড বক্স না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? দু’পক্ষকে বুঝিয়ে সমঝোতার রাস্তায় নিয়ে এলে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। করোনাভাইরাসের পর দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। সাবেকি পুজোর পাশাপাশি চলে থিম পুজোর আয়োজন। গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে মহানগরীর দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন সকলে। গত ২ বছর পর কোন বিধিনিষেধ ছাড়াই পুজোর আনন্দে সামিল হতে পেরে খুশি ৮ থেকে ৮০। সেখানে বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছিল।