হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ, শুক্রবার কাকভোরে জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সকালবাজার এলাকায় ১০ জন সশস্ত্র ডাকাত মুখে গামছা বেঁধে কাপড়ের ব্যবসায়ী সুজিত কাড়ারের বাড়িতে হানা দেয়। তখন বাড়ির সবাই ঘুমোচ্ছিলেন। ভোরের আলোও ঠিকমতো ফোটেনি। এই অবস্থায় ডাকাতরা ঘরে ঢুকে গৃহকর্তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। তখন তাঁর সাত বছরের ছেলে সৌমাল্য কাড়ারের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে যাবতীয় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা লুট করে তারা। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর গা থেকে সমস্ত সোনার গয়না খুলে নেওয়া হয়। একঘন্টা ধরে অপারেশন চালায় ডাকাতরা।
ঠিক কী ঘটেছে হাওড়ায়? এই ঘটনার পর ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, ডাকাতদল মোট ১০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবার। ঘোর কাটেনি ছোট্ট ছেলে সৌমাল্যর। জাকারতরা এখান থেকে যাওয়ার আগে পরিবারের সকলের হাত–পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। আর বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পরে দাঁত দিয়ে দড়ি কেটে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে সব জানানো হয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরাই ফোন করে পুলিশে খবর দেন। গোটা ঘটনার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ডাকাতির ঘটনা পূর্ব–পরিকল্পিত বলে মনে করা হচ্ছে। ডাকাতি করার আগে এখানে রেইকি করা হয়েছিল। তারপর আজ অপারেশন চালানো হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনার পর জগৎবল্লভপুর থানায় ফোন করা হয়। তবে থানার কেউ ফোনই তোলেননি। এই অবস্থায় ১০০ নম্বরে ফোন করেন স্থানীয়রা। সেখানে ফোন করলে পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বর দেওয়া হয়। সেই নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ আসে জগৎবল্লভপুরে। এখন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।