অন্ডালের পর মালদহের চাঁচল। আবার দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। বৃদ্ধ দম্পতিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, বেঁধে রেখে তাণ্ডব চালাল ৬ জনের একটি ডাকাত দল। মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে এভাবেই চলল লুটপাট। ঘটনাস্থল চাঁচলের উওর বসন্তপুরের সাহা পাড়া। শুক্রবার মাঝরাতে স্থানীয় বাসিন্দা মণীন্দ্র সাহার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
ঠিক কী ঘটেছে চাঁচলে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মণীন্দ্র সাহা ও স্ত্রীর সঙ্গে একাই থাকেন। তাঁদের ছেলে একজন সেনাকর্মী এবং কর্মসূত্রে বাইরেই থাকেন। এই সুযোগে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকে ডাকাতদল। তারপর সঙ্গে সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয় বৃদ্ধ দম্পতিকে। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে রাখা হয়। এই অবস্থায় লুটপাট শুরু করে ডাকাত দল।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝরাত ২টোর সময় ৬ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। বৃদ্ধ দম্পতিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর লুটপাট চালায়। বাধা দিতে গেলে ওই বৃদ্ধকে মারধরও করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ডাকাতরা বাড়ি থেকে ছয় ভরি সোনার গয়না–সহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল এবং চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ। তাঁদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনীও পৌঁছয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলা বিহার সীমান্ত সংলগ্ন মহানন্দপুরে হিমাংশু সাহার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার কয়েক মাস আগেই চাঁচল সদরে একটি বাণিজ্যিক অনলাইন মার্কেটিং সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।