ডাকাতির অভিযোগ। ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ারও অভিযোগও উঠছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অথচ ঘুণাক্ষরে টেরও পেলেন না কেউ। এমনকী ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হয়। কোচবিহারের দিনহাটার নিগমনগরে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের এই ডাকাতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। অভিযোগ ক্যাশিয়ারকে আটকে রেখে টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। ব্যাঙ্কের অপর এক কর্মী এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর দিনহাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি এত নিখুঁত অপারেশন করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে যে টের পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর গ্রাহক সেজে তারা ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল। এরপরই ক্য়াশিয়ারকে আটকে ফেলে। গোটা ঘটনায় পুলিশও ধন্ধে পড়েছে।
এদিকে স্থানীয় ও ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর সকাল ১০ টা নাগাদ ব্যাঙ্ক খোলা হয়েছিল। আর তারপরই গ্রাহক সেজের দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের ভেতরে ঢোকে। তখন ব্যাঙ্কের মধ্য়ে ক্যাশিয়ার ছিলেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দাবি, আমাদের বাড়িতেই ব্যাঙ্কটি ভাড়া রয়েছে। ডাকাতি হওয়ার ১ ঘণ্টা পর আমরা জানতে পারি। ১০টার পরেই নাকি দুতিন জন মাস্ক পরে ব্যাঙ্কে উঠেছিল। এরপর তারা নাকি টাকা তোলার কথা বলেছিল। এরপর ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ারকে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু ব্যাঙ্কের পাশের জানালাগুলো খোলা ছিল। সেই জানালা দিয়ে ক্যাশিয়ার কেন চিৎকার করলেন না সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরেও তো চিৎকার করতে পারত? ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে তারা চম্পট দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।