হাওড়ায় সুইমিং পুলে ডুবে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হল পরিবার। মৃত বিদীপ্ত ঘোষের মায়ের দাবি, প্রশিক্ষকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৯ বছরের ছেলের। শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ সুইমিং পুল। ঘটনার তদন্ত করছে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ।
বিদীপ্তর মা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে একসঙ্গে প্রায় ৩৫টি শিশু কিশোর সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছিল। তখনই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় বিদীপ্ত। কিছুক্ষণের মধ্যে ভেসে ওঠে সে। তখন সুইমিং পুলের অন্য প্রান্তে ছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে প্রশিক্ষক বিদীপ্তকে জল থেকে তুলে ধরেন। ততক্ষণে নিথর হয়ে গিয়েছে তার দেহ। এর পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তাঁর দাবি, অন্যান্যদিন কম জলে বিদীপ্তকে সাঁতার কাটানো হলেও গতকাল বেশি জলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে সুমিং পুলের অন্য প্রান্তে নিয়ে যান প্রশিক্ষক। তার পর গভীর জলের দিকে সাঁতার কাটতে থাকে বিদীপ্ত। কিছুক্ষণ পর অন্য শিশুদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রশিক্ষক। তখনই ডুবে যায় ৯ বছরের এই কিশোর।
শনিবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বন্ধ রয়েছে প্রশিক্ষণ। সুইমিং পুলে কোথাও নেই সিসিটিভি। এমনকী জলের গভীরতা কোথায় কতটা তাও লেখা নেই পুলে।
তবে সুইমিং পুলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্বামীজি সংঘের সচিব তপন দাস বলেন, এই মৃত্যুতে আমাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করা ঠিক নয়। ঘটনার সময় পুলে ৭ জন প্রশিক্ষক ছিলেন। তাছাড়া প্রত্যেক শিশুর অভিভাভক সাঁতার শেখানোর সময় পুলের পাশেই থাকেন। ফলে যদি শিশুটি ডুবে গিয়ে থাকে তাহলে তো সেটা সবার আগে তার মায়ের চোখে পড়ার কথা। শিশুটি ৩ মাস ধরে সাঁতার কাটছে। ওর তো সাঁতার শিখে গিয়েছিল। অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতার জন্য ওর মৃত্যু হয়েছে।