ছাগলের দোষে যে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে। কারণ জমির মধ্যে ছাগল ঢুকে খেয়েছে জমির ফসল। তাই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনার জেরেই প্রাণ হারালেন দু’জন। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাংলাদেশ সীমান্তগ্রাম চর বাঁশগাড়ায়। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই পরিবারের মারামারিতে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন, মলিনা বিবি (৩৫) ও সুজন শেখ (২২)। সম্পর্কে তাঁরা পরস্পরের কাকিমা ও ভাশুরপো। যদিও অবুঝ ছাগল কিছুই বুঝতে পারল না। তার জন্যই মারামারি এবং তা থেকে দু’জনের প্রাণ চলে গেল। শুধু একটু দৌড়াদৌড়ি ও ব্যা ব্যা করে চিৎকার করল। তবে ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কে সাবেরির রাজকুমার জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই দু’পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘঠেছে। তাতেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার ছাগল জমির মধ্যে ছেড়ে দেয় এক পক্ষ। পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার মধ্যেই আক্রমণ ও বোমাবাজি হয়। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যায়। আর একজন হাসপাতালে মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই। মৃত সুজনের বাবা পিয়ারুল শেখ কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে জমির মাটি তুলে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় প্রতিবেশী জাহাঙ্গিরদের জায়গা ব্যবহার হচ্ছিল। যা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন জখম হয়েছিল। ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত হয়। এবার ফের ওই জাহাঙ্গির বজলুররা তাঁদের ছাগল জোর করে সুজনদের জমিতে ঢুকিয়ে দিলে ফের বচসা বাঁধে। তখন জাহাঙ্গিরের পক্ষের লোক বজলুর রহমানরা বোমাবাজি ও গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে সুজনের ডানহাত উড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়ে। গলায় গুলি লাগে মৃত মলিনা বিবির। তাঁকে আহত অবস্থায় রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।