একজন মন্ত্রী কি জেলা পরিষদের সাধারণ সভার সদস্য হতে পারেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর এই বিতর্কে প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় তৃণমূল মন্ত্রী রথীন ঘোষের যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রশ্নে শাসক দলকে নিশানা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিষয়টা কী?
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে সাধারণ সভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই যোগ দিতে উপস্থিত হন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। জেলা পরিষদের উন্নয়নের টাকা কীভাবে অশোকনগরের পুর এলাকায় খরচ করা হল? তা নিয়ে বৈঠকে তিনি প্রশ্ন তোলেন। মন্ত্রী অভিযোগ, জেলা পরিষদে যে এলাকায় কাজ হচ্ছে সেই এলাকার যিনি সদস্য তিনি তা জানতে পারছেন না। হোয়াটস্যাপ গ্রুপও রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপে ঠিকমতো সেই বার্তা পৌঁছয় না। এর পরে শুরু হয় বিতর্ক অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী মন্ত্রীর জেলা পরিষদে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, একজন বিধায়ক জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন। কিন্তু মন্ত্রী হয়ে গেলে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য থাকতে পারেন না। এটা শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয় গোটা বাংলায় একই নিয়ম রয়েছে। তাই রথীন ঘোষের বৈঠকে যোগ দেওয়াটা আইনমূলক নয়।
যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর দাবি, তিনি জেলা পরিষদের সাধারণ সভার সদস্য এবং তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলেই এই সভায় যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন সদস্য আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে এসেছি। না হলে কি আসতে পারতাম। কে কী বলল তাতে কিছু এসে যায় না। যদিও এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিরোধী নেতাদেরকে ডাকেন না। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে এরা নিয়ম নীতি কিছুই জানেন না। যেমন মুখ্যমন্ত্রী করেন নিচু তলাতেও সেরকমই চলে।’