বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মৎস্যজীবীদের নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ল দক্ষিণরায়, চোখে চোখ রেখে লড়াই, তারপর?

মৎস্যজীবীদের নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ল দক্ষিণরায়, চোখে চোখ রেখে লড়াই, তারপর?

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।

কিন্তু তাঁর দুই সঙ্গী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পথ আটকে দাঁড়ায়।

সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের পেটে যাওয়া প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করে সঙ্গীকে উদ্ধার করার ঘটনা সত্যিই বিরল। তবে বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে। নদীতে কাঁকড়া ধরে নৌকায় শুয়ে গল্প করছিলেন দুই মৎস্যজীবী। এমন সময় নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কুলতলির মৎস্যজীবী লক্ষ্মীন্দর সাঁপুইকে এক থাবায় জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দুই সঙ্গী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পথ আটকে দাঁড়ায়। সাহসের সঙ্গে বাঘের চোখে চোখ রেখে রুখে দাঁড়িয়ে প্রাণ বাঁচান বন্ধু লক্ষ্মীন্দরের। গ্রাম জুড়ে এখন এই চর্চা তুঙ্গে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যে তিনজন মৎস্যজীবী সেদিন কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ি কুলতলিতে। আর তাঁরা হলেন—সৌমিত্র সর্দার, লক্ষ্মীন্দর সাঁপুই এবং ইব্রাহিম শেখ। কাঁকড়া ধরার পর দুপুরে তাঁরা নৌকায় ফিরে শুয়ে ছিলেন। তখনই জঙ্গল থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বেরিয়ে এসে তাঁদের নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। লক্ষ্মীন্দরের মাথা থাবা বসিয়ে টানতে শুরু করে।

আর তখনই পথ আটকে দাঁড়ায় দুই বন্ধু সৌমিত্র এবং ইব্রাহিম। বাঘের চোখে চোখ রেখে তাঁরাও হুঙ্কার ছাড়তে শুরু করে। একইসঙ্গে লাঠি নিয়ে এগোতে থাকেন বাঘের দিকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিকার ছেড়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে পালায় বাঘটি। সাহসের সঙ্গে লড়াই করে বন্ধুর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন তাঁরা গ্রামে হিরো। এই ঘটনার পর ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘‌লক্ষ্মীন্দরের জীবন বাঁচাতে পারব ভাবিনি।’‌

এখন চায়ে পে চর্চায় উঠে এসেছে, দক্ষিণরায়ের সঙ্গে লড়াই করা মুখের কথা নয়। এই ঘটনা নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‌লক্ষ্মীন্দর। তিনি এখনও ঘোর কাটাতে পারেননি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই খবর গিয়েছে বন দফতরেও। লক্ষ্মীন্দর ফিরে এলে তাঁর মুখ থেকেই শোনা যাবে অভিজ্ঞতার কথা।

বন্ধ করুন