বছরের প্রথমদিনেই বাঘের আতঙ্কে তটস্থ গ্রামীণ মানুষজন। বর্ষশেষের দিনেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন গোসাবার মানুষজন। তখন তাঁদের ঘরবন্দি দশা হয়েছিল। এবার বছরের শুরুর দিন দক্ষিণরায় পালাল অন্য গ্রামে বলে খবর। জানা গিয়েছে, গ্লাসখালি ও এমলিবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে রয়েছে বাঘ। কারণ একাধিক জায়গায় গ্রামবাসীরা বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ দেখতে পেয়েছেন। সুতরাং আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।
এই পরিস্থিতিতে বর্ষশেষের রাতে সুন্দরবনের হলদিবাড়ি জঙ্গল লাগোয়া রঙমারির চরে হামলা চালায় দক্ষিণরায়। তাতে আহত হয়েছেন অমল দণ্ডপাত এবং খোকন মুন্ডা। এই হামলায় অমলের খুলি এবং খোকনের ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত দু’জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বনকর্মীরা খবর পেয়েই ওই এলাকা জাল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেন। তারই মধ্যে বাঘের হামলায় জখম হলেন দু’জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকজন মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। একটি নৌকায় ছিলেন অমল এবং খোকন। শুক্রবার রাতে বিদ্যাধরী নদী দিয়ে যাচ্ছিল তাঁদের নৌকাটি। তখনই লুকিয়ে থাকা বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতেই দু’জন জখম হন। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কুলতলির বাসিন্দাদের ঘুম কেড়েছিল দক্ষিণরায়। তাকে ধরে জঙ্গলে ছাড়া হলেও এখন আবার নতুন করে আতঙ্ক চেপে বসেছে।
অমলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার পর সজনেখালি, বসিরহাট রেঞ্জের সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আরও বন কর্মীরা সেখানে চলে যান। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জোন্স জাস্টিন উপস্থিত হন। তখনই দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ।