কুলতলি, মাইপীঠের পর এবার গোসাবার কুমিরমারীতে বাঘের আতঙ্ক। শুক্রবার রাতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা মেলার পর থেকেই ডোরাকাটার খোঁজে শুরু হয়েছিল চিরুনি তল্লাশি। শনিবার রাতে ওই বাঘটিকে দেখা যায় বাগনা বন দফতরের অফিসের পাশেই। একটি কলা গাছের তলায় বসেছিল সেটি। বনকর্মীরা বাঘটিকে তত্ক্ষণাত ঘুমপাড়ানি ওষুধ মেরে কাবু করে। জানা গিয়েছে, ধরা পড়া ডোরাকাটাটি একটি বাঘিনী। বয়স চার কি পাঁচ বছর হবে। আজই বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হলে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কুমিরমারীর বাঘনা ফরেস্ট অফিসের সামনেই একটি কলাগাছের তলায় দক্ষিণরায়কে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এর জেরে কুমিরমারীতেও বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাঘের খবর পেতেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু'টি ঘুমপাড়াানি গুলি করে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করেন৷ এরপর শনিবার রাতেই বাঘটিকে নৌকায় করে ঝড়খালির উদ্দেশে রওনা করে দেন বনদফতরের আধিকারিকরা। সেখানে আজ সকালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷
এদিকে কুলতলির পর লাহিড়ীপুর অঞ্চলের চরঘেরী এলাকায় এখনও বাঘকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া জন্য তোড়জোড় চলছে। লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে চর এলাকায় বাঘের একাধিক পায়ের ছাপ দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। সেখানে এখনও দক্ষণরায়ের খোঁজ চলছে। এর আগেই ৬ দিনের প্রচেষ্টায় কুলতলিতে ধরা হয়েছিল আরও একটি বাঘকে। একের পর এক বাঘ এভাবে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের আধিকারিকদের কপালে।