শীত পড়তেই আবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতিতে তোলপাড় সুন্দরবন। কারণ রাতের অন্ধকারে এসে দক্ষিণরায় ঘোরাফেরা করছে। সেই চিহ্ন মিলছে। এমনকী সেই গর্জনে এখন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের মধ্যে। এখন এখানে পর্যটকরাও ঘুরতে আসছে। সেখানে বুধবার রাত থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্কে তটস্থ সুন্দরবন। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা পঞ্চায়েতের ঝিঙ্গাখালির একটি গ্রাম পারঘুমটি। এখানেই এখন বাঘের আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষজন।
ঠিক কী ঘটেছে সুন্দরবনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গ্রামে হঠাৎ তীব্র গর্জন শোনা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। এখানকার মানুষজন এই গর্জনের সঙ্গে বেশ পরিচিত। তাই এই গর্জন শোনা মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। গ্রামবাসীরা বাড়ির দরজা শক্ত করে দিতে শুরু করেন। আর আজ, বৃহস্পতিবার গ্রামের রাস্তায় দেখা মেলে আট ফুটের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। বাঘ মামাকে দেখে সবাই যখন গা–ঢাকা দিতে ব্যস্ত তখন দেখা যায়, বাঘটি একটি ছাগল ধরে খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা বাজি–পটকা ফাটিয়ে তাড়ায় বাঘকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলার পর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। সেখান থেকে কর্মীরা এসে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খোঁজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ বনকর্মীরা বাঘকে খুঁজে বের করেন। আর ফেরত পাঠায় জঙ্গলে। কালীতলা পঞ্চায়েতের পারঘুমটি গ্রামের বিপরীতেই সুন্দরবনের ঝিঙাখালি জঙ্গল। মাঝখানে কুঁড়েখালি নদী। এই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কুঁড়েখালি নদী সাঁতরে পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
বন দফতরের বক্তব্য কী? বন দফতর সূত্রে খবর, এখানে আগেও বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। এখানে জঙ্গলের পাড় ধরে লাগানো হয়েছিল জাল। যাতে লোকালয়ে বাঘ ঢুকতে না পারে। কিন্তু এবার সেই জাল ছিঁড়েই গ্রামে ঢুকে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে বন দফতরের তৎপরতায় বাঘটিকে আবার জঙ্গলে ফেরত পাঠানো গিয়েছে। এই ঘটনার পর আরও শক্ত জাল লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।