বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলা জুড়ে অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল সিমলিপাল থেকে বাংলায় চলে আসা বাঘিনী 'জিনাত'। আবার সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, পুরুলিয়া ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে আরও একটি বাঘ ঘুরঘুর করছে। এই সবের মাঝেই এবার কুলতলির গ্রামে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়ল সাধারণ মানুষের। রিপোর্ট অনুযায়ী, কুলতলির মৈপীঠের বৈকুন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লি ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের আশেপাশে বাঘ ঘুরছে। সোমবারই এই এলাকার গ্রামে রয়্যাল বেঙ্গলের টাটকা পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। এমনকী হাড়হিম করা বাঘের গর্জনও কানে এসেছে গ্রামবাসীদের। মাতলা নদী সংযোগরক্ষাকারী ওরিয়ন খাঁড়ি পেরিয়ে বাঘটি কিশোরীমোহনপুরে এসে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: কলকাতা ও সল্টলেকে কোন রুটে বাড়ছে কটা সরকারি বাস? এখনই বা চলে কটা?)
আরও পড়ুন: জাল ছড়িয়ে আরও গভীরে? প্রাক্তনের পর পাসপোর্ট জালিয়াতিতে এবার নজরে ৪ পুলিশকর্মী
এদিকে সুন্দরবনের জঙ্গ ছেড়ে বাঘ লোকালয়ে চলে আসায় নড়েচড়ে বসেছে বন দফতর। এই আবহে বাঘটিকে ফের জঙ্গলে ফেরাতে জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে সেই এলাকা। এই নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, সোমবার সকালেই তাঁরা জানতে পারেন যে জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ঢুকেছে বাঘ। এরপরই স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে বন দফতরের কর্মীরা সেই এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে। এই আবহে বন দফতরের কর্মীরা এলাকার ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন। রায়দিঘির রেঞ্জ অফিসার বিষয়টি নিজে দেখছেন। এদিকে বন দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতার কাজ শুরু করেছে। (আরও পড়ুন: 'ভারতে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ পরিকল্পনা' নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা, সত্য নাদেলা বললেন…)
এদিকে বাঘের আতঙ্ক প্রসঙ্গে বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, শ্রীকান্ত পল্লি সংলগ্ন দ্বীপের জঙ্গল আছে। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই নাকি বাঘ বেরিয়ে আসে লোকালয়ের কাছে। এই আবহে সোমবার নজীর পাড়ে স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর চোখেই প্রথম পড়েছিল বাঘের ছাপ। এরপর সেই বাঘের খোঁজে অভিযান শুরু করতেই হাড়হিম করা গর্জন শোনা গিয়েছিল। এদিকে কিছু দিন আগে বৈকুণ্ঠপুরের এক গ্রামবাসী বাঘের আক্রমণে আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এদিকে সম্প্রতি মৃত একটি গবাদি পশুকে নদীর পাড়ে ফেলা হয়েছিল। সেই টানেই এই দফায় বাঘ বৈকুণ্ঠপুরের লোকালয়ের দিকে এসে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।