ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দফায় দফায় ৯ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সরদার। তবে মিলনের গ্রেফতারিতে আশ্চর্য নন স্থানীয়রা। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে মিলন যে ভাবে একের পর এক কুকর্মে জড়িয়েছেন তাতে তিনি অপরাধে যুক্ত থাকতেই পারেন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। কী ভাবে গয়নার দোকানের কর্মচারী মিলন গত কয়েক বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তা বলতে বলতে হাফিয়ে উঠছেন অনেকে। জানাচ্ছেন, মিলনের দুষ্কর্মের তালিকা বলতে গেলে দিন কাবার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন - কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন কলতান, আদালতের দৌলতে জুটল রক্ষাকবচ
পড়তে থাকুন - ‘স্বাস্থ্যভবনে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে’, নথি তুলে একগুচ্ছ অভিযোগ শুভেন্দুর
বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গয়নার দোকানের কর্মী ছিলেন মিলন। ২০১৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে কাউন্সিলর হন তিনি। এর পর থেকে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে রেখেছে সে। আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এলাকাবাসীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ঘর পাননি। সম্প্রতি চাপের মুখে কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছে সে। স্থানীয়দের দাবি, মিলনের হাতে টাকা না গুঁজে এলাকায় একটা ইঁট গাঁথাও সম্ভব নয়। টাকা না দিয়ে কাজ করলেই মিলনের শাগরেদরা এসে ঝামেলা করে কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্নীতির টাকায় এলাকায় নগদে একের পর এক জমি ও সম্পত্তি কিনেছে মিলন। সম্প্রতি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি বাড়ি কিনে মেস ভাড়া দিয়ে দেয় সে। গত কয়েক বছরে মিলনের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন - ‘প্রতিবাদের পূর্ণ স্বাধীনতা আমারও থাকবে’, নিজেকে মুক্ত বলে পোস্ট জহরের
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর দত্তপুকুরে একটি বাগানবাড়িতে রাখা হয়েছিল। সেই বাগানবাড়ি ভাড়া করে দিয়েছিলেন মিলন। এছাড়া বারাসতে অপহরণকারীদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয় সে।