চলন্ত ট্রেন ধরতে গিয়ে ঘটেছিল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকে পা ঢুকে গিয়েছিল বয়স্ক যাত্রী। আর একটু দেরি হলেই হয়তো ট্রেনের চাকার নিচে গিয়ে পড়তেন। ঘটতে পারত ভয়ঙ্কর বিপদ! তবে আরপিএফ কর্মীর তৎপরতায় সাক্ষাৎ মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এলেন ওই যাত্রী। পড়ে যেতে দেখেই দৌড়ে গিয়ে যাত্রীকে রক্ষা করলেন আরপিএফ কর্মী। ঘটনাটি ঘটে আসানসোল ডিভিশনের মধুপুর স্টেশনে।
আরও পড়ুন: ‘প্রাণের ভয় নেই’— ট্রেনের কাপলারেই উঠে পড়ছে মানুষ! বিহারের যাত্রীদের ট্রেন চড়ার হিড়িক ভাইরাল
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিট নাগাদ। ওই বয়স্ক যাত্রী মধুপুর স্টেশন থেকে ০৩৫২৫ মধুপুর-গিরিডিহ ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ততক্ষণে স্টেশন থেকে রওনা দিতে শুরু করে ট্রেন। তাই দৌড়ে গিয়ে ট্রেনের একটি কামড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন ওই যাত্রী। কিন্তু, তাঁর এক হাতে ছিল ব্যাগ। ফলে ঠিকমতো ধরতে পারেননি ট্রেনের দরজার হাতল। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ভারসাম্য হারিয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের ফাঁকে পড়ে যান ওই যাত্রী। তখন ট্রেনে থাকা অন্য এক যাত্রী তাঁকে ধরে ফেলেন। কিন্তু, তিনি একহাত দিয়ে কিছুতেই তাঁকে ধরে রাখতে পারছিলেন না। তখন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সঙ্গেসঙ্গে সেখানে ছুটে যান কর্তব্যরত আরপিএফ কনস্টেবল এম.কে. মণ্ডল।
আরপিএফ কনস্টেবল নিরাপদে বয়স্ক যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে টেনে আনেন। ফলে বড়সর দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, বহু যাত্রী দৌড়ে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। এরফলে যে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা এদিনের ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। তাই এমনটা না করার জন্য যাত্রীদের সতর্ক করেছে রেল। একইসঙ্গে পূর্ব রেল যে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা এদিনের ঘটনায় স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের জীবন কীভাবে রক্ষা করতে হবে তার জন্য রেলের একটি বিশেষ প্রকল্প রয়েছে যার নাম হল ‘জীবন রক্ষা’। এরজন্য আরপিএফ কর্মীদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কীভাবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে হবে তা শেখানো হয় কর্মীদের। এই প্রকল্পের আওতাতেই ওই যাত্রীর জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।