মেদিনীপুরের সভা থেকে তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে কমপক্ষে ১৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এটা রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরের নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ২৫,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। সুতরাং বিজেপি তাঁকে যে শিল্পবিরোধী তকমা দিতে চাইছে, তা বাস্তবে ধোপে টিকবে না বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তাজপুরে গভীর বন্দরের নির্মাণকাজে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মেদিনীপুর এবং বাংলার মানুষদের জন্য এটি এক ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টি টুইট করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যবসার বিপুল প্রসার ঘটবে এই বন্দরের মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খড়গপুর সংলগ্ন এলাকার লোহা ও ইস্পাত কারখানার রফতানি বৃদ্ধি পাবে। পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়ার লোহা ও ইস্পাত রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। সেখান থেকে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় ও জাপানে সি-ফুড রফতানি হয়। এই বন্দর চালু হলে সি-ফুড রফতানি বৃদ্ধি পাবে। লাখ লাখ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন। সি-ফুডের নতুন পরিকাঠামো হবে।
সোমবার মমতা জানান, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেরিটাইম বোর্ড–ডব্লিউবিআইডিসির অধীনে তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করা হবে। এটা বাংলার জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এমনকী ১৩ শতাংশ লোহা ও ইস্পাত রফতানি বেড়ে যাবে এই বন্দর তৈরি হলে।