ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা পাচারকারীকে ধরল বিএসএফ। সেই পাচারকারীর কাছ থেকে ২০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এই ২০টি সোনার বিস্কুটের ওজন ছিল ২৩৩২.৬৬ গ্রাম। বাজেয়াপ্ত সোনার দাম ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনস্ত ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা হোরান্দিপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সোনা পাচারকারীকে ধরে বিএসএফ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর রাতে হোরান্দিপুরে মোতায়েন বিএসএফ কর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পান সোনা পচারকারীর বিষয়ে। বিএসএফ জানতে পারে, মুসলিমপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে আনা সোনা পাচারের পরিকল্পনা করছে। এরপরই সীমান্তে সেই পাচারকারীকে ধরতে কোমর কষে বিএসএফ। লুকিয়ে থেকে পাচারকারীর অপেক্ষা করতে থাকেন বিএসএফ জওয়ানরা। সারারাত পরে ১২ অক্টোবর সকাল ৬টা নাগাদ সীমান্ত লাগোয়া বাঁশঝাড়ের আড়ালে এখ ব্যক্তিকে দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তিকে ধরে বিএসএফ। তা কাছে এটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগটি খুলে তল্লাশি চালান জওয়ানরা। তখন দেখা যায়, সেই ব্যাগে ২০টি সোনার বিস্কুট লুকানো রয়েছে।
এদিকে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিয়েছে বিজিবি। এই নিয়ে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে একাধিক জায়গায় সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিগত দিনে। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে এর আগেও কথা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে জায়গায় জায়গায়। এছাড়া 'সীমান্ত হত্যা' নিয়ে বাংলাদেশের অনেক অভিযোগ। যদিও পাচারকারীকে রুখতে ব্যর্থ বিজিবি। এই আবহে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীর ওপর বিএসএফ গুলি চালালে তাতেও আপত্তি বাংলাদেশের। এদিকে অনেক জায়গাতেই অভিযোগ উঠেছে, টাকা নিয়ে পাচারকারীদের ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে বিজিবি।