এবারে গরুপাচার কাণ্ডে ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি। এর মধ্যে রয়েছে ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এই অ্যাকাউন্টগুলির বেশ কয়েকটি অনুব্রতর নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার। বেনামী কয়েকটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে এই ৩৬টির মধ্যে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গরুপাচার কাণ্ডে ইডির বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ১৩ লাখ। আরও সম্পত্তির সন্ধানে রয়েছেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫)
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে ভিসা না পেয়ে কনস্যুলেটে 'অনুপ্রবেশ' ভারতীয়-আমেরিকান বামপন্থী নেত্রীর
আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা
গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই শুরু করেছিল তদন্ত। সেই মতো তারা এফআইআর দায়ের করেছে। তাতে নাম ছিল বিএসএফের প্রাক্তন কর্তা সতীশ শর্মা, এনামুল হক সহ অন্যান্যদের। ইডি জানিয়েছে, সেই এফআইআর-এর থএকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিজেদের তদন্ত চালিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের এফআইআর-এর দাবি করা হয়, বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে গরু পাচারের বিশাল চক্র তৈরি হয়েছিল। তাতে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ থেকে বিএসএফ-এর আধিকারিকও সামিল ছিলেন। দাবি করা হয়, এই গরুপাচারের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে যেত। এই মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁর মেয়ে সুকন্যাও গ্রেফতার হয়েছিলেন। কয়েকদিন আগেই তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ইডির অভিযোগ, গরু পাচারের মধ্যে দিয়ে অনুব্রতর হাতে আসে ৪৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। যার একাংশ তাঁর হিসাবরক্ষক এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন অুব্রত। (আরও পড়ুন: বাংলায় বসে অঙ্ক কষলেন দেবাংশু, দিল্লিতে AAP-কে 'জেতালেন' TMC নেতা!)
আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না', বাংলাদেশিদের বার্তা ইউনুসের
আরও পড়ুন: Delhi Vote Result LIVE: দিল্লিতে শুরু ভোটগণনা, পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে BJP
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল গরুপাচারকাণ্ডে। ২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ২০২৩ সালে ওই মামলাতেই তাঁর কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। দীর্ঘদিন দু'জনেই দিল্লির তিহাড় জেলে ছিলেন। ২০২৪ সালে অবশ্য জামিনে জেলমুক্ত হন বাবা ও মেয়ে। এই মামলায় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশও গ্রেফতার হয়েছিলেন।