রাজ্যে হসপিটালিটি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসতে পারে আগামী কয়েক বছরেই। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২ থেকে ৩ বছরে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে পারে হোটেল ব্যবসায়। এই সময়কালে রাজ্য জুড়ে ৩২টি বিলাসবহুল হোটেল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। এর মধ্যে অধিকাংশই আবার পাঁচতারা হোটেল হবে বলে দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের ইতিহাসে এর আগে এই সময়কালের মধ্যে এত সংখ্যক পাঁচতারা হোটেল তৈরি হয়নি। (আরও পড়ুন: ডিএ বাড়ছে না, তবে এরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের জন্যে সুখবর শোনাল রাজ্য)
আরও পড়ুন: মাথায় হাত পড়বে ইউনুসের? বাংলাদেশকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করল আমেরিকা
আরও পড়ুন: বন্ধ কোচিং সেন্টারের সামনে প্রতিবাদ অভিভাবকদের, মুখ খুলল FIITJEE
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটে হোটেল ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষর করতে পারে। এই নিয়ে অবগত এক সরকারি আধিকারিক বলেন, 'ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের বিষয় নিশ্চিত হয়ে আছে। এই পরিমাণ ৫ হাজার কোটি ছুতে পারে। এর মধ্যে কিছু হোটেল ২০২৬ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যেতে পারে। এবং আরও কিছু হোটেল ২০২৮ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।' রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই ৩২টির মধ্যে অন্তত ১০টি বিলাসবহুল হোটেল তৈরি হতে পারে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে। (আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বড় ঘোষণা সরকারের, ২০% ভাতা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি)
আরও পড়ুন: বিবাহিত দম্পতিদের জন্যে 'যৌথ আয়কর' ব্যবস্থার প্রস্তাব, কী বদল আসতে পারে তাতে?
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলায় নয়া মোড়, সঞ্জয় রায়ের লড়াইয়ে 'প্রবেশ' শিবসেনার?
উল্লেখ্য, কলকাতায় বর্তমানে ৩৫০০টি পাঁচতারা হোটেল রুম আছে। সারা রাজ্যে সংখ্যাটা ৪৫০০। আগামী ২ থেকে ৩ বছরে যদি ৩২টি হোটেল তৈরি হয়ে যায়, তাহলে রাজ্য জুড়ে পাঁচতারা হোটেল রুমের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: বিতর্ক অতীত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলোয় দুর্গা পদতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার)
আরও পড়ুন: আরজি করে নির্যাতিতার দেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রশ্ন জিন্সে রক্ত নিয়ে
আরও পড়ুন: গত একমাসে গ্রেফতার ৪০ 'শরিফুল', বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রমরমা মহারাষ্ট্রে
এই নিয়ে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুব়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলেন, রাজ্য সরকার তিনদিনের কনক্লেভ করতে চলেছে। তাতে এই ইন্ড্রাস্টির সঙ্গে জড়িত ১৫০টি সংস্থা অংশ নিতে পারে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যের জিডিপিতে ভ্রমণ শিল্পের অবদান ১২.৬ শতাংশ।