ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করতে ৭ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিলেন দাদা নরেন কান্দু। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই তথ্য জানালেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার পি সিলভামুরুগন। সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপারের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন তপন কান্দু। তাঁকে খুন করতে ৭ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিলেন দাদা নরেন কান্দু। আশিক খান নামে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সেই টাকা পৌঁছয় ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতী কলেবর সিংয়ের কাছে। এর পর সে আরও ২ দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় গুলি করে তপন কান্দুকে।
যদিও পুলিশের তত্ত্ব মানতে নারাজ তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর দাবি, খুনে যুক্ত ঝালদা থানার আইসি। ১৩ মার্চ তপনবাবু খুন হওয়ার আগে ১১ মার্চ তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন আইসি। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের বাঁচাতেই ঘটনার দায় পরিবারের দিকে ঠেলছে পুলিশ।
তপন কান্দু খুনে এখনো পর্যন্ত ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, ব্যবসায়ী আশিক খান ও ভাড়াটে খুনি কলেবর সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।