ফের অস্থির বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর থেকেই সেখানকার সংখ্য়ালঘু হিন্দুরা নানাভাবে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে তাঁদের উপর নানা হামলা নেমে আসছে বলে খবর। এসবের মধ্যেই এবার সীমান্তের এপারে নানা ধরনের সামাজিক কাজকর্ম বাড়িয়ে দিল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বংয় সেবক সঙ্ঘের তরফে বর্ডারের গ্রামগুলিতে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বছরভরই সংঘের নানা কাজকর্ম চলে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় একাধিক শাখা সংগঠনকে কার্যত মাঠে নামিয়ে দিয়েছে সঙ্ঘ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বিদ্যাভারতী, সহকার ভারতীর মতো বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতদিন সীমান্তবর্তী এলাকায় কেবলমাত্র সীমান্ত চেতনা মঞ্চই কাজ করত। তবে এবার থেকে একাধিক শাখা সংগঠনকে কাজে লাগানো হয়েছে। তাদের মধ্য়ে সমণ্বয় রাখছে সীমান্ত চেতনা মঞ্চ।
এতদিন উত্তরবঙ্গের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় একল স্কুল চালাত সঙ্ঘ। অর্থাৎ এক শিক্ষক স্কুল। তবে এবার উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের একল স্কুল চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে নিবিড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যাতে দেশাত্ববোধক চিন্তা যথাযথ থাকে তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সেই সঙ্গেই সীমান্তবর্তী এলাকায় মহিলাদের স্বনির্ভর করার উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া ও অর্থনৈতিকভাবে যাঁরা সমস্যায় রয়েছেন তাদের ঋণ দেওয়া, গোষ্ঠী তৈরি করে তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সীমান্ত চেতনা মঞ্চ নর্থ বেঙ্গলের প্রান্ত সভাপতি প্রদীপ চন্দ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বাসিন্দাদের এক জোট রাখতে ও ভারত বিরোধী শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে যাতে বাসিন্দাদের সম্পর্ক ভালো থাকে সেটার চেষ্টা করছি। জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশে একের পর এক ক্ষেত্রে সংখ্য়ালঘুদের উপর হামলার ঘটনা সামনে আসছে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সেখানকার সংখ্য়ালঘুরা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত। এদিকে পাশের দেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার জেরে এপার বাংলাতেও প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। তার মাঝেই এবার সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতে কোনওভাবেই অস্থিরতা তৈরি না হয় তার উপর নজর রাখছে সঙ্ঘও। সীমান্তবর্তী এলাকায় সামাজিক নানা কাজকর্ম বাড়িয়ে দিয়েছে আরএসএস।