উত্তরবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোটারদের মন পেতে সক্রিয় হচ্ছে সংঘ পরিবার। সংঘ সমীক্ষা করে দেখেছে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আটটির মধ্যে সাতটি আসন জিতে নিলেও মূলত মুসলিমদ-সহসংখ্যালঘুদের মন পায়নি বিজেপি। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর ও মালদহের সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবিরে। বিধানসভা ভোটের নিরিখে এই ভোটব্যাঙ্ক ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে ধরে নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সংঘ্ পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বকে আরএসএস জানিয়েছে যে সংখ্যালঘুদের মন পাওয়ার বিষয়টি তারাই দেখে নেবেন। কারণ বিজেপি নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছেন না সংখ্যালঘু মানুষজন। তাঁরা মনে করছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। তাই তাঁরা বিজেপিকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। এই ভাবনা পালটে দিতেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে শুরু করেছেন সংঘের প্রচারকরা। উত্তর দিনাজপুরে আরএসএসের সংগঠনে মুসলিম যুবকদের সদস্য করা হচ্ছে।
সংঘ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ নামে তাদের একটি মুসলিম শাখা সংগঠন আছে। উত্তর দিনাজপুরে এই সংগঠনের শাখা বিস্তার শুরু করা হয়েছে। ওই জেলার ন'টি বিধানসভার মধ্যে ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি এবং ইটাহার মুসলিম–অধ্যুষিত। এই আসনগুলি পেতে গেলে মুসলিম ভোট লাগবেই। তাই জেলার বেশ কিছু এলাকায় মুসলিম যুবকদের সদস্যপদ দিয়েছে সংঘ। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভাতেও এক সুর। শুক্রবার করণদিঘিতে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভায় বক্তারা স্পষ্ট জানান, মঞ্চ মুসলিম বা খ্রিস্টান বিরোধী নয়। একইভাবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে যে ভারতের মুসলিমদের ভয়ের কিছু নেই। এই জেলাতেও মুসলিম ভোট না পেলে রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি, মালবাজার, নাগরাকাটা আসনে পদ্ম ফোটানো কঠিন হতে পারে।