রায়নায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বার্ধক্যভাতা থেকে এলাকায় রাস্তা না হওয়া সবক্ষেত্রে গ্রামের বাসিন্দারা বার বার অভিষেকের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পানীয় জল নিয়েও অভিষেকের সামনে ভুরি ভুরি অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী এক বৃদ্ধ অভিষেকের সামনে বলতে গিয়ে কার্যত কেঁদে ফেলেন। এর জেরে অস্বস্তি বাড়তে থাকে তৃণমূলের অন্দরে।
এদিকে অভিষেক রায়নার ওই গ্রাম থেকে বের হতেই তৃণমূল কর্মীদের নিজেদের মধ্য়ে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। তাদের দাবি কেন ওই গ্রামে অভিষেককে আনা হল? কেন তার সামনে নালিশ করা হল?
তবে রায়নার সভায় অভিষেক বলেন, ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখে দিয়েছে। আমি যদি ভুল বলি তবে আমার নামে মামলা করে দিক।আমি নিজে গেছি ২৫জন সাংসদ নিয়ে। বাংলার মানুষের অধিকারের টাকা। কী চান। দিল্লি যাব। যাবেন আমাদের সঙ্গে। দায় দায়িত্ব আমার। আবাসের টাকা, রাস্তার টাকা আটকে রাখবে। কোনও বাপের ক্ষমতা নেই টাকা আটকে রাখবে।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, এমন প্রার্থী চাই দিল্লির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে। যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না। এমন প্রার্থী আমরা চাই।দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসব। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখার দল। জানালেন অভিষেক।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, একজন বিজেপির কার্যকর্তা,আরএসএসের উর্দিতে রয়েছে, ইউনিফর্মে রয়েছে আমায় এসে বলল দাদা লাইটটা করে দিলে আমি খুব উপকৃত হব। শুভেন্দু ন, সুকান্ত মজুমদার নয়, মোদী, অমিত শাহ নয়, আমাকে এসে বলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এসে বলছে। উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেস করে না। আমি বলি আপনি রাজনীতির জায়গায় থাকুন। এরকম ছেলেমেয়েদের স্যালুট করি। এই রায়না ২ নম্বর ব্লকে কয়েকজন মহিলা বললেন চলুন রাস্তাটা দেখাব। গিয়ে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা। আমরা রাস্তার টাকার জন্য তো দরবার করছি।
এদিকে এদিন রায়নায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে বের হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে গিয়েই গ্রামবাসীরা কার্যত ঘিরে ধরেন তাকে। তাদের দাবি বার্ধক্য ভাতা মেলেনা, রাস্তা নেই, পানীয় জলের সমস্যা। এভাবে আর কতদিন? সেখানেও জবাব দিতে গিয়ে অভিষেক বলেন কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। সেজন্য় কাজ হচ্ছে না।