এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে 'প্রথম' স্থান অধিকার করেছেন মুর্শিদাবাদের মেয়ে রুমানা সুলতানা। এবার তাঁকে জেলার কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাব দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জেলাশাসক। যদিও এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে দাবি বিরোধীদের।
শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবার্ধনা দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা ও অষ্টম স্থানাধিকারী প্রীতম চক্রবর্তী হাজির ছিলেন। সেখানে জেলাশাসকের তরফে রুমানাকে মুর্শিদাবাদ জেলার কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে এই প্রস্তাব আগে দেখা যায়নি বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত।
জেলা প্রশাসনের এই ধরনের সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত জেলাশাসক নিয়েছেন। এর ফলে জেলায় পড়ুয়াদের পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। সার্বিকভাবে জেলার আরও উন্নতি হবে। যদিও বিরোধীরা অবশ্য বিষয়টিকে ওভাবে দেখছেন না। জেলার বিজেপি নেতা তপন চন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন, জেলার ৭০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু। তাহলে কি রুমানা মুসলিম বলেই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হল? তাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, সরকার শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করছে।
তবে এরইমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের প্রথম স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণার সময়ে ‘মুসলিম গার্ল’ বলা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রথম স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণার সময়ে কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম কেন আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহল।