তৃণমূল নেতাকে কাটমানি দিয়েও মেলেনি রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা। অবশেষে সমস্যার সমাধানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দ্বারস্থ বৃদ্ধা। ওদিকে বৃদ্ধার অভিযোগ শুনেই যে যার মতো ক্যাম্প ছেড়ে পালালেন সেখানে থাকা তৃণমূল নেতারা। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের। বিজেপির দাবি, হতদরিদ্র মানুষকেও প্রতারণা করতে ছাড়ে না তৃণমূল।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রাঙাইপুরে বসেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পে শুক্রবার হাজির হন ষাটোর্ধ্ব নুরেসা বিবি। অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর মেয়ে রুকসানার বিয়ে হয়। তার আগে নিয়ম মেনে রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকার জন্য আবেদন করেন তিনি। টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩০০০ হাজার টাকা কাটমানি চান স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। মেয়ের বিয়ের আগে কষ্টে সৃষ্টে সেই টাকাও জোগাড় করে তাঁদের দেন বৃদ্ধা। অভিযোগ, তার পরে বছর ঘুরলেও টাকা ঢোকেনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বিডিও অফিসে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর আবেদন বাতিল হয়েছে। এর পরে সরকারি অফিসে ঘুরে ঘুরে চটি ক্ষইয়ে ফেলেছেন নুরেসা বিবি। কিন্তু টাকা পাননি তিনি। কেন তাঁর আবেদন বাতিল হল তাও স্পষ্ট নয়। ওদিকে কাটমানির টাকা ফেতর দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূল কাটমানি ছাড়া কিছু বোঝে না। কাটমানি নিয়েও গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা। রূপশ্রী প্রকল্প সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই চালাচ্ছেন সেই চক্র। এর ফলে সরকারি প্রকল্পের টাকার একাংশ যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে ও তৃণমূলে পার্টি ফান্ডে।