বাংলা জুড়ে মেলার উন্নয়ন কে করেছে? এই প্রশ্ন যদি ওঠে তাহলে একটাই উত্তর আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী অবশ্য কটাক্ষ করে বলে থাকেন, এটা খেলা আর মেলার সরকার। যদিও এইসব মেলা থেকেই টাকার লেনদেন বেশি হয়। আর গ্রামীণ মানুষজন নিজেদের শৈল্পিক কাজকর্ম বিক্রি করে দু’পয়সা রোজগার করেন। যা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে থাকে। সেখানে সবলা মেলায় এবার দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। তাই তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। যা এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা হচ্ছে।
এদিকে কেন এমনটা হল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই কিছু নেতা এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। সবলা মেলা এখন একটা বড় অনুষ্ঠান এই রাজ্যে। যেখানে বহু জেলা থেকে মানুষ আসেন। আবার বিক্রেতারাও নানা জেলার থেকে এসে নিজেদের মেধা ও শিল্প মানুষের সামনে তুলে ধরেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকার বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই নেওয়া হয় উদ্যোগ। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে শাসকদলের পক্ষ থেকে উদ্যোগে শুরু হয়ে যায় ছবি লাগানোর।
আরও পড়ুন: চন্দ্রকোণার ৩১৮ একর জমির মালিক কে? কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে ধোঁয়াশায় দু’পক্ষ
অন্যদিকে এই সবলা মেলা এখন বাংলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার পিছনে ঐকান্তিক চেষ্টা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেখানেই কিনা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নেই! এই নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের দাবি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবলা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে সবলা মেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে নানা সমস্যার জেরে সবলা মেলা শেষ পর্যন্ত দেরিতে শুরু হয়েছে। আর এই দেরিতে শুরু হওয়ার জেরে উদ্যোক্তাদের হাতে সময় অত্যন্ত কম ছিল। ওই কম সময়ে তাড়াহুড়ো করে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাই ভুল করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বাদ পড়ে গিয়েছে।
কিন্তু ভুল তো ভুলই। সেখানে যে অজুহাতই দেওয়া হোক না কেন, সেটা খুব একটা খাপ খায় না। আর এক্ষেত্রে তো নয়ই। যার জন্যই এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। সুযোগ পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছেড়ে কথা বলতে চায়নি তারা। বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, আসলে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ। তাই নেতাদের অনেকে আমন্ত্রণও পাননি এই সবলা মেলার অনুষ্ঠানে। বুধবার বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে সবলা মেলার উদ্বোধন করা হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল–সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।