শুধুমাত্র তৃণমূল কর্মীদের জন্য চাকরির ‘চেষ্টা’ করবেন বলে দাবি করে মুখ খুললেন তৃণমূলের আরও এক নেতা। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে মালদার তৃণমূল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা এদিন দাবি করেন, ‘তৃণমূল জিন্দাবাদ’ বললেই তাঁর জন্য ‘একশো শতাংশ’ চাকরির চেষ্টা করব। এর আগে একই ধরণের মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
সম্প্রতি সাবিনাকে উত্তর দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। এদিন দলের জেলা কার্যালয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা সকাল সন্ধ্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছে, তাদেরই চাকরি হবে। সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার ১০০ শতাংশ চেষ্টা করা হবে। তবে সেই চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে।’ একই সঙ্গে সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সিপিমের জমানায় যে হোলটাইমাররা সারাদিন কাঁধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁদেরই চাকরি হয়েছে। তাই এখন তাঁদেরই চাকরি হবে যারা সকাল – সন্ধ্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলছেন।’
মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাকরিও বাম জমানাতেই হয়েছে। নিয়ম মেনে হয়েছে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে তাঁরা চাকরি পেলেন কী করে? তৃণমূল কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে, এই কথার মানে কী? মেধার আবার সিপিএম – তৃণমূল হয় না কি?’
বলে রাখি, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এক ফেসবুক লাইভে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, সুযোগ পেলে আবার তৃণমূল কর্মীদের জন্য চাকরির চেষ্টা করব। সেই বক্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার ক্ষমা চেয়ে মদন বলেন, ‘অনশনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি, আমি যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার কথা বলিনি। দোষী ছাড়া পেয়ে গেলে আপত্তি নেই, নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। কামারহাটিতে কিন্তু অনেক নির্দোষ ছেলেও চাকরি পেয়েছে, যারা টাকা দেয়নি। যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিল। তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়।’