কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কি হবে সাগরদিঘি উপনির্বাচন? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ চলতি মাসেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি। এবার এই উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে আলোচনা করেছে। তাই সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথেই আধাসামরিক বাহিনী থাকবে বলে সূত্রের খবর। এই বিধানসভা কেন্দ্রেই একুশের নির্বাচনে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত সাহা। তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু গতবছর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ফলে ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সেই সাগরদিঘি বিধানসভার নতুন বিধায়ক খুঁজে নিতেই ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সেই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণার পর সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা। মূল লড়াই তৃণমূল–বিজেপির মধ্যে হলেও কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ব্যারণ বিশ্বাসকে। তবে বামেদের প্রার্থী এখনও ঘোষণা না হওয়ায় কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের অনুরোধ করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমার শেষ দিন এবং ভোট গণনা হবে ২ মার্চ।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া? কেন্দ্রীয় বাহিনীর খবর নিয়ে রাজ্যে চর্চা শুরু হলেও গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ভোট মানুষ দেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী হোক বা না হোক, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সমস্যা নেই। ভোট তো সাধারণ মানুষ দেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো দেবে না।’ একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হয়েছিল। তাতে গোহারা হয়েছিল বিজেপি। এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনও আছে। তবে তার আগে হয়ে যাচ্ছে উপনির্বাচন। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে উপনির্বাচন হলে সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup