সাগরদিঘি উপনির্বাচনের মঞ্চ থেকে কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যদিকে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর যোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে মঞ্চ থেকে একটি ছবিও তিনি দেখান। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলে ধরে দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কার্যত বিজেপি ও কংগ্রেস একযোগে পরস্পরের হাত ধরেছে বলে দাবি অভিষেকের।
এর সঙ্গে অভিষেক বলেন, রাম বাম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। এরপরই ফোনে তিনি শুভেন্দু বিজেপির একটি অডিয়ো শোনান। একাধিকবার তিনি এই অডিয়ো শোনান। তিনি বলেন, একমাস আগে শুভেন্দু অধিকারী সভা করে জানিয়েছিলেন, সনাতনী হিন্দু বুথগুলোতে যাতে বিজেপি জেতে তার ব্যবস্থা করব। সংখ্যালঘু বুথগুলোতে জোড়া ফুল যাতে না ফোটে তার ব্যবস্থা করে রেখেছি। তার মানে কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মঞ্চ থেকেই প্রশ্ন করেন, মীরজাফরের নাম কি? এই জেলার মীরজাফরের নাম কি?
পরে তিনি মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে। অমিত শাহের পুলিশ অধীর চৌধুরীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। দিদির পুলিশে ভরসা নেই। দাদার পুলিশে ভরসা রয়েছে। এমন মিরজাফরে এই জেলায় আগামী ৫০০ বছরেও জন্মাবে না।
এভাবেই সাগরদিঘির মঞ্চ থেকে একদিকে কংগ্রেস ও অপরদিকে বিজেপিকে নিশানা করেন। এমনকী শুভেন্দুর অডিয়ো শোনালেন অভিষেক।
তবে এনিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ব্য়ক্তিগতভাবে কারোর সঙ্গে কারোর পরিচয় থাকতে পারে। ছবিও থাকতে পারে। তার মানে তাতে কিছু প্রমাণ হয় না।
এদিকে তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় অধীর গড়ে জোড়াফুল ফোটাতে তিনিই ছিলেন নেত্রীর বড় হাতিয়ার। আর বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই তির ছুঁড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর সঙ্গেই তিনি এদিন অধীর চৌধুরীকেও একহাত নেন। কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির তলায় তলায় সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, কংগ্রেস জিতলেই বিজেপিতে চলে যাবে।সব মিলিয়ে বিরোধীরা কৌশলে একজোট হয়ে তৃণমূলকে হারানোর চেষ্টা করছে বলেও তৃণমূল নেতৃত্ব আক্রমণ শানাচ্ছেন।