গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। শুক্রবার সায়গলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করেন গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁরা জানান, সায়গলের লেনদের ও সম্পত্তির ব্যাপারে এখনো বহু তথ্য জানা বাকি। অভিযুক্তকে মুক্তি দিলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি। এর পরই সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
সিবিআইয়ের দাবি, সায়গলের ফোন থেকে একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গরুপাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে একাধিকবার কথা হয়েছে সায়গলের। কথা হয়েছে একাধিক প্রভাবশালীদের সঙ্গেও। এই সংক্রান্ত ফোন কলের তালিকা এদিন আদালতে পেশ করে সিবিআই।
সিবিআই জানায়, প্রভাবশালীদের সঙ্গে সায়গলের কী যোগাযোগ। কোনও ব্যবসায়িক যোগাযোগ হলে তার লেনদেন হয়েছে কী ভাবে তা জানতে চায় সিবিআই।
পালটা সায়গলের আইনজীবীরা বলেন, সায়গলের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রাখার যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি নয়। আমরা একটি ফ্ল্যাটকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে তা প্রমাণ করেছি।
যদিও সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল হোসেনের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই তাঁর নামে ৬০টির বেশি দলিল উদ্ধার হয়েছে। এত টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন তা জানাতে হবে সায়গলকে।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব খতিয়ে দেখে আদালত সায়গলকে ৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যে কোনও সময় জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করতে পারবে সিবিআই।