বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Sailesh Pandey Fraud of 134 Crores: ১৩৪ কোটির লেনদেন! তদন্ত এগোতেই শৈলেশের কীর্তিতে চোখ কপালে পুলিশের

Sailesh Pandey Fraud of 134 Crores: ১৩৪ কোটির লেনদেন! তদন্ত এগোতেই শৈলেশের কীর্তিতে চোখ কপালে পুলিশের

১৩৪ কোটির বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে।

শৈলেশের সঙ্গে যুক্ত আরও ১৭টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে ৬টি অ্যাকাউন্টে গত ৬ মাসে মোট ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও এক পয়সাও নেই।

হাওড়ার শিবপুরে দুই দফায় প্রায় ৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শৈলেশ পাণ্ডে নামক এক ব্যবসায়ীর। এই ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চোখ কপালে উঠছে তদন্তকারীদের। শৈলেশের জালিয়াতি চক্রের তদন্তে নেমে আরও ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে পাণ্ডে ব্রাদার্সের মোট দুর্নীতির পরিমাণ ১৩৪ কোটি টাকার।

কয়েকমাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দু’টি অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়। এতে সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। জানা যায়, ব্যাঙ্কের নজরে পড়া দু’টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি টাকা। পাঁচটি সংস্থার নামে পাঁচজন ব‌্যক্তি ওই টাকা অ‌্যাকাউন্ট দু’টিতে জমা করেছে। স্ট্র‌্যান্ড রোডের ঠিকানায় শৈলেশ নামক এক চার্টার্ড অ‌্যাকাউন্ট‌্যান্ট এই অ্যাকাউন্ট দু’টি খুলিয়ে দিয়েছিলেন ভুয়ো নথির মাধ্যমে। এরপরই সংশ্লিষ্ট ব‌্যাঙ্কের রিজিওনাল ম‌্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে টিএম ট্রেডার্সের আমন ঠাকুর, কেকে ট্রেডার্সের কৌশল কুমার, এমআর ট্রেডার্সের রাকেশকুমার সিং, পিকে ট্রেডার্সের পঙ্কজকুমার তিওয়ারি ও আরকে ট্রেডিংয়ের রাহুলকুমার আকেলার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নাম উঠে আসে শৈলেশ পাণ্ডের।

এই আবহে শৈলেশের সঙ্গে যুক্ত আরও ১৭টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে ৬টি অ্যাকাউন্টে গত ৬ মাসে মোট ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও এক পয়সাও নেই। এর আগে তল্লাশি চালিয়ে ৮.১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে শৈলেশ এবং তাঁর ভাইদের বাড়ি–গাড়ি থেকে। পাশাপাশি দুটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, বেশকিছু গয়না এবং ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনুমান, বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে তা সাদা করতেন শৈলেশ। পুলিশের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

বন্ধ করুন