মেদিনীপুর হাসপাতালের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। আর এই বিষয়েই এবার তীব্র ক্ষোভ জানালেন ডায়মন্ডহারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা নিয়েও বিরক্তি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবারও মেদিনীপুরের ঘটনা নিয়ে একইরকম অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে সার্বিক তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়। আজ, বুধবার ফলতায় সেবাশ্রয় প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অভিষেক। আর সেখান থেকেই হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি।
মেদিনীপুর হাসপাতালে যে বিষাক্ত স্যালাইনের জেরে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত দেওয়া হয়েছে। আর সিআইডি তদন্তকারীরা হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। সেখানে এই ঘটনা নিয়ে এবার কড়া জবাব দিলেন অভিষেক। তিনি মনে করেন এই ঘটনার নেপথ্যে একটা চক্রান্ত কাজ করেছে। তাই আজ ফলতায় অভিষেক বলেন, ‘গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্য সরকার বিষয়টি দেখছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তও চলছে। মানুষের প্রাণ মণিমুক্তোর মতো। কারও গাফিলতি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: পবন চামলিংয়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, নতুন কি কোনও সমীকরণ হচ্ছে?
এই স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে এখন বিরোধীরা পথে নেমে পড়েছেন। সিপিএম–বিজেপি এবং কংগ্রেস সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছেন বলে খবর। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিষেককে। তার জবাবে অভিষেকের বক্তব্য, ‘এই আরজি কর নিয়ে তো কত কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছিল। কিন্তু কী দেখা গেল? কলকাতা পুলিশ যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে সিবিআই পাঁচ মাস সময় লাগিয়ে দিল। সুতরাং বুঝতে হবে কলকাতা পুলিশ সঠিক তদন্তই করেছিল। আর সিপিএম–বিজেপি, ওদের আমলে তো বানতলা, ধানতলা, চমকাইতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই পর পর ঘটেছে। বিজেপি তো অপরাধীদের আশ্রয় দেয়। লালনপালন করে। ওরা কি অভিযোগ করবে।’
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি আরও তিনজন অসুস্থ। তাঁদের গ্রেফতার করে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ হওয়া স্যালাইন রিঙ্গার ল্যাকটেট তাঁদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়ে অভিষেকের কথায়, ‘স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু দুঃখজনক। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে শান্তি হবেই। স্যালাইন কাণ্ডে যুক্তদের শাস্তি হবেই। কাউকে রেয়াত করা হবে না।’