এবার সালিশি সভায় মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ে। দিন কয়েক আগেই কালিয়াচকে এমন এক ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার দাবি করা হচ্ছে, ক্যানিংয়ে সালিশি সভায় চার মহিলাকে 'মারধর' করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই নাকি ৪ মহিলাকে নির্যাতন করা হয়। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে পঞ্চায়েত মেম্বার রমজান মোল্লার। তিনিই নাকি বিবাদ মেটাকে সালিশি সভার ডাক দিয়েছিলেন। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ মেটানোর দায়িত্ব কেন পঞ্চায়েত নিল? (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়কে কেন আড়াল করেছিলেন অভিজিৎ? 'মোটিভ' পেল সিবিআই?)
আরও পড়ুন: ৫০০ কোটি খরচের ঘোষণা মন্ত্রীর, কেন্দ্রের থেকে বেশি ডিএ বাড়ল রাজ্যে
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পেতে...', ঝাড়খণ্ডে বিস্ফোরক মোদী
দাবি করা হচ্ছে, ১০ কাঠা দমি নিয়ে বহুদিন ধরেই বিবাদ ছিল পরিবারে। দশ কাঠা জমির দলিল বোনদের নামে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভাইদের নাম তাতে ছিল না। তা নিয়েই ঝামেলা। সেই সমস্যা মেটাতেই রমজান মোল্লা সালিশি সভা ডেকেছিলেন। আর সেখানেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা কটাকাটি শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই আবহে চারজন মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত মহিলাদের ভরতি করানো হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ভাইরাই বোনেদের মেরেছিল। (আরও পড়ুন: কানাডার মন্দির থেকে গ্রেফতার ৩ হিন্দু, প্রতিবাদে সরব ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা: রিপোর্ট)
এর কয়েকদিন আগে মালদার কালিয়াচকের সালিশি সভা শিরোনামে উঠে এসেছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সেই সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ ১০০ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে গ্রামের বিবাহিত মহিলাকে এক যুবকের সঙ্গে আম বাগানে ঘুরতে দেখা যায়। তা দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। এরপর তারা দুজনকে ধরে নিয়ে যান। দুই সন্তানের মা হওয়া সত্ত্বেও মহিলা যুবকের সঙ্গে নির্জন আম বাগানে কী করছিলেন? সেই প্রশ্ন তুলে বেশ কয়জন গ্রামবাসী তাদের উপর চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর ঠিক হয় সালিশি সভার মাধ্যমে এর বিচার করা হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখন পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত মহিলা ও যুবককে উদ্ধার করে। সেই সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসীরা। তারা যুবক যুবতীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের গাড়ি আটকান গ্রামবাসীরা। একসময় তারা লাঠি, হাঁসুয়া, বাঁশ, ইট নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন। জানা গিয়েছে, হাঁসুয়ার কোপে এক পুলিশ কর্মীর হাত কেটে যায়। এছাড়াও গ্রামবাসীদের ছোড়া ইটে মাথা ফেটে যায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর।