খড়গপুর আইআইটিতে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে। তার জন্য ময়নাতদন্তের পর নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও, সংগ্রহ করা হয়েছে খাবারের নমুনা। সেগুলি পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। এগুলি পরীক্ষার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইআইটি খড়গপুরে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য, খুন না আত্মহত্যা?
এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় আলাদাভাবে কোনও তদন্ত কমিটি তৈরি করেনি আইআইটি কর্তৃপক্ষ। তবে তারা পুলিশকে সবরকমভাবে তদন্তে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আইআইটি-এর ডিরেক্টর আমিত পাত্র জানান, তাদের তরফে আলাদা কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনকে তদন্তে সাহায্য করা হবে। একই সঙ্গে আইআইটিতে কোনও থ্রেট কালচার নেই বলে দাবি করেছেন ডিরেক্টর।
উল্লেখ্য, গতকাল আইআইটির আজাদ হল থেকে উদ্ধার হয় শাওন মালিক নামে খড়গপুরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের দেহ। তিনি কলেজের হস্টেলে থাকতেন। রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গে হস্টেল দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। তবে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া শব্দ পাননি তারা। শেষ পর্যন্ত ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় শাওনের দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আইআইটির নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে খবর দেওয়া হয় খড়গপুর টাউন থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এরপরই আইআইটির হস্টেল এবং ক্যাম্পাসে কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার জানান, সবরকমভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে, শাওনের মৃত্যু ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগেই খড়গপুর আইআইটি-র এক শিক্ষাকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। মৃতের নাম সাকির আলি মোল্লা। তিনি রসায়ন বিভাগের জুনিয়ার টেকনিশিয়ান ছিলেন। কোয়ার্টারের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আর তারপরেই ছাত্রের মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় খড়গপুর আইআইটিতে।