উৎসব–পার্বণ এখন শেষের দিকে। এখন শুধু চলছে জগদ্বাত্রী পুজো। তাও সব জেলায় এই পুজো হয় এমন নয়। তাই রোজকার খেটে মানুষের কাজ করতেই হয়। মৎস্যজীবী যাঁরা তাঁরা মাছ ধরতে নদীতে যান, মিস্ত্রিরা নিজেদের কাজে যান, ফিরে যান পরিযায়ী শ্রমিকরা এবং মাঝিরা নৌকা চালিয়ে রুটি–রুজির ব্যবস্থা করেন। এই আবহে আজ, রবিবার সামশেরগঞ্জের শিবনগর গঙ্গায় ইলিশ ধরতে যান কয়েকজন মাঝি। আর তাঁদের জালে ধরা পড়ছে ‘বাঘা কাতলা’ মাছ। গঙ্গায় ধরা পড়া জ্যান্ত কাতলা দেখতে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয় মানুষজন।
এমনটা যে হবে তা কেউ ভাবতেও পারেননি। এখন শীত আসছে। তাও পুরোপুরি পড়েনি। সকালের দিকে গ্রামবাংলায় হালকা শীত অনুভব হয়। আর রাতে তাপমাত্রা কমে একটা শীতের আমেজ অনুভব করা যায়। এই আবহে গঙ্গায় ইলিশের দেখা মেলে না। তবু যদি দু’একটি পাওয়া যায় তাহলে তা বাজারে বিক্রি করে দু’পয়সা আসবে। এই আশা নিয়েই মাঝিরা জাল ফেলেছিলেন। এটা তাঁদের কাজ নয়। তাও কোনও কোনও সময় মাঝিদের জালে ইলিশ ধরা পড়েছে। আর সেই ইলিশের আশা নিয়ে ডিঙ্গি নৌকা করে গঙ্গায় চোষে বেড়ান মাঝিরা। কিন্তু ইলিশের দেখা নেই। সেখানে উঠে এল ‘বাঘা কাতলা’।
আরও পড়ুন: এবার শহর থেকে জেলায় নজরদারি করতে বিশেষ ব্যবস্থা, নবান্নে হচ্ছে নয়া কন্ট্রোল রুম
এই ‘বাঘা কাতলা’ সাইজে বিরাট বড়। আর এই মাছের স্বাদও অত্যন্ত সুস্বাদু। এই মাছের ওজনও অনেক বেশি। তবে ইলিশের বদলে জালে ‘বাঘা কাতলা’ ধরা পড়বে এটা একেবারেই কল্পনাতীত। সেখানে আজ ধরা পড়েছে ১০, ১৫, ২০ কেজির ওজনের বিশাল ‘বাঘা কাতলা’ মাছ। তাও আবার জ্যান্ত। এই জ্যান্ত ‘বাঘা কাতলা’ মাছ ধরা পড়তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। তখনই ভিড় জমতে শুরু করে। খদ্দের সেজে গঙ্গা পারে মাছ কিনতে আসেন অনেকে। তাছাড়া এই বিশাল জ্যান্ত ‘বাঘা কাতলা’ মাছ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার উৎসুক সাধারণ মানুষ।
এই ‘বাঘা কাতলা’ মাছের অনেক উপকারিতা আছে। এটা শরীরে ফ্যাট কমায়। আর প্রোটিনের প্রবেশ ঘটে। তাছাড়া এই বিশাল মাছ বিয়েবাড়ির ভোজে কাজে লাগে। আর বাজারে এই ‘বাঘা কাতলা’ মাছের দাম বিপুল। সেখানে সামশেরগঞ্জের গঙ্গায় আজ সকালে এমন বড় ওজনের কাতলা মাছ ধরা পড়ার পর আশেপাশের গ্রাম থেকেও তা দেখতে চলে এসেছেন মানুষজন। অনেকে ‘বাঘা কাতলা’ মাছের সঙ্গে সেলফি তুলে রেখেছেন। কেউ শুধু মাছের ছবি তুলেছেন। আবার কেউ গায়ে হাত দিয়ে জ্যান্ত মাছের অনুভূতি নিয়েছেন। রবিবাসরীয় সকালে এটাই ছিল বাস্তব ছবি।