কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের নাম করে তিস্তার চর থেকে বালি পাচার করার অভিযোগ উঠল। সেখানে সার্কিট বেঞ্চের সাইনবোর্ড লাগিয়ে বালি পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের কাজের জন্য জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরের চৌধুরীহাট থেকে বালি তোলার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তার চর থেকে বালি তোলার কোনও অনুমতি নেই। তারপরও দেখা যাচ্ছে ওই এলাকা থেকে বালি তুলে তা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এই ঘটনার জন্য নজরদারির অভাবকে দায়ি করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি) রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘হাইকোর্ট ভবনের কাজের জন্য পূর্ত দফতর আমাদের কাছে বালি তোলা অনুমতি চেয়েছিল। সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অবৈধভাবে কেউ বালি পাচার করলে সে ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধভাবে বালি পাচার করলে তাদের ট্রাক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে।’ পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, সেটি রাস্তা থেকে নিচু হওয়ার কারণে সেখানে প্রচুর পরিমাণে বালি প্রয়োজন। আর তিস্তা চরের বালির গুণগত মান ভালো হওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তা চর থেকে বালি তোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। গত এপ্রিলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই অনুমতির অপব্যবহার করে অনেকেই বালি পাচার করছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, পে লোডার দিয়ে বালি বোঝাই করে কখনও ট্রাক চলে যাচ্ছে ডান দিকে আবার কখনও চলে যাচ্ছে বাঁদিকে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা বালি পাচারের কাজে জড়িত থাকে না।