সন্দেশখালিকাণ্ডে জামিন পেয়ে গেলেন তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া নেতা উত্তম সর্দার। আর জামিন পাওয়ার পরেই উত্তম জানিয়ে দিলেন, সব মিথ্য়ে। মা বোনেদের সাজিয়ে নিয়ে এসব করছে সিপিএম-বিজেপি। জামিন পেয়েই একেবারে দাপুটে গলায় জানিয়ে দিলেন উত্তম। এখানেই শেষ নয়। এমনকী তিনি বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।
কিন্তু তারপরই শুরু হয়ে গেল নাটক।
এদিকে উত্তম সর্দারকে ২ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেয় বসিরহাট আদালত। আবার জামিন পেয়ে যান বিজেপি নেতা বিকাশ সিংও। আবার বিকাশ সিংহ জামিন পাওয়ার পরেই ফের শুরু হয়ে যায় নাটকীয় পরিস্থিতি। এরপরই কার্যত নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বিকাশকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। কার্যত আটক করা হয় তাকে। জামিন পাওয়ার পরেই মালা পরিয়ে পরিবারের লোকজন যখন বিকাশকে গাড়িতে তুলেছিলেন তখনই ধুন্ধুমার কাণ্ড! ওই গাড়ি থেকে কার্যত নামিয়ে আনা হয় বিকাশ সিংহকে। দাবি বিজেপির।
এক জেলা বিজেপি নেতার দাবি, পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে নামিয়ে নিয়ে যায়। সাদা পোশাকে ছিল পুলিশ। তারা জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায় বিকাশকে। জামিন পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ ফের তুলে নিয়ে যায়। অবরোধ শুরু করে দেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ সাদা পোশাকে ছিল। তারাই ফের বিকাশকে আটক করে বলে অভিযোগ।
এদিকে বিজেপির একাংশের দাবি করেছেন, উত্তম সর্দারকেও ফের আটক করা হয়েছে খবর। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন গ্রামবাসীকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারাও এদিন জামিন পান।
তবে রাজ্য পুলিশকে এদিন তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এদিকে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের নিরাপদ সর্দারের জামিন মেলেনি। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশ এদিন জামিনের আবেদনের তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। তারপর তার পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মিথ্য়া পরিকল্পিত, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিরাপদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, এলাকাকে অশান্ত করার জন্য পুলিশ যদি ব্যবস্থা নেয় সেটা তো নেবেই।
তবে সাংসদ নুসরত জাহান জানিয়েছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আর আমার কাজ আগুনে ঘি দেওয়া নয়। আমাদের সকলের কাজ এটাই হওয়া উচিত। যাতে আগুন নেভানো যায়। তাই সকলের উচিত প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করা। যাতে প্রশাসনের লোকেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেটা নিশ্চিত করা উচিত।