চিটফান্ড মামলায় জামিন পেলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। আজ, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলার শুনানি ছিল। এই চারটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত ছিল। আর একটি মামলা ছিল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এই চারটি মামলা উঠেছিল। তার মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন পেলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। অপর মামলা জলপাইগুড়ি জেলা আদালত থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে আলিপুর সিবিআই আদালতে।
সুদীপ্ত সেনের চেহারা এখন ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করছেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি লিখেছেন। তাঁর আইনজীবী শাক্যদীপ দাশগুপ্ত জানান, সুদীপ্ত সেনের চারটি মামলায় জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মামলায় সিবিআই তদন্ত করে চার্জশিট পেশ করেছে। সেই মামলাটি আলিপুর আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি তিনটি মামলা, যেগুলি পুলিশ চার্জশিট দিয়েছিল, সেগুলিতে এদিন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। যে তিনটি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, সেগুলিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ ও ১২০ (বি) ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
সারদা চিটফান্ড নিয়ে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সম্প্রতি কাকে–কত টাকা দিয়েছিলেন তা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলতে শুরু করেছেন। সেখানে উঠে আসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। এদিন চারটি মামলা ছিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। সেই চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে জামিন পেয়ে গিয়েছেন দেবযানীর সেন স্যার। ফলে আবার তিনি মুখ খুলতে পারেন বা চিঠি লিখতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেটা শুরু হলেই তিনি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবেন। তখন আর কাদের নাম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।
কী বলছেন সারদাকর্তার আইনজীবী? সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী শাক্যদীপ দাশগুপ্ত জানান, যে চারটি মামলা ছিল জলপাইগুড়ি আদালতে ছিল সেগুলিতে নাম রয়েছে দেবযানীরও। চারটিতে দেবযানীর নাম রয়েছে। আর কোনও মামলায় কুণাল ঘোষ, সোমনাথ দত্তের নামও আছে। যদিও তাঁদের এই মামলাগুলিতে আগেই জামিন হয়ে গিয়েছে। তবে আজ আদালতে সুদীপ্ত সেন ছাড়া বাকিদেরও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup