সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর শাহজাহান শেখের বাহিনীর তাণ্ডবকে বোকামি বললেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, দলে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। তবে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে মনে করেন না বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী - সাংসদ।
এদিন শতাব্দী বলেন, ‘কোনও আক্রমণকেই সমর্থন করা যায় না। সেটা দলও নিশ্চই সমর্থন করে না। দল ওই লোকগুলোকে তৈরিও করেনি। না দল বলেছে এটা করতে। কেউ যদি করে থাকে সেটা তার ব্যক্তিগত দায়িত্বে। এতে দলের কোনও দায়িত্ব নেই। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। বিরোধীরা প্রশ্ন করছে। এক লাইনে বলতে গেলে এটা বোকামি। এই বোকামির খারাপ প্রভাবই পড়ে’।
এর পর তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা তো বলবেই আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমি তা মানি না। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিকই আছে’।
বলে রাখি, শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনাকে স্বতঃস্ফূর্ত গণরোষ বলে দাবি করে তৃণমূল। হামলার জন্য ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই দায়ী করে তারা। এই প্রথম তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি সরাসরি সেই হামলার বিরোধিতা করলেন।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী - পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
এই ঘটনা নিয়ে শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা রণকৌশল তৈরি করেছে। কোথাও হার্মাদ বাহিনী দিয়ে, কোথাও রোহিঙ্গা দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তারা কাজ করতে দেবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আদালতে গিয়ে বলা উচিত। এদের গ্রেফতার করে রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্যের মধ্যে থাকলে তো আবার এই ধরণের আক্রমণ হতে পারে। সেজন্য মামলাগুলিকে রাজ্যের বাইরে স্থানান্তর করা উচিত’। এমনকী রাজ্যে হিন্দুদের ওপর হামলা হলে কে বাঁচাবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুকান্তবাবু।