ফের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বিধানসভা ভোটে জেতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বোলপুর সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। একটা সময় ছিল, কেষ্টর ডাকা বৈঠকে হাজির থাকতেন না শতাব্দী। এনিয়ে দলের অন্দরে কম চর্চা হয়নি। তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, দলের জেলা সভাপতির ডাকা সব বৈঠকে হাজির থাকছেন শতাব্দী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই হাজিরাই প্রমাণ করে দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেকটাই মিটেছে।|
এদিন বৈঠক শেষে বীরভূমের জেলা সভাপতি জানান, ‘সবাইকে ডাকতে পারিনি। ১০০ লোককে ডেকে বৈঠক করলাম। জেলা কমিটির সদস্যরা ছিলেন। দলের বিধায়করা ছিলেন।’ এদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘ভারতবর্ষটা পুরো শেষ হয়ে গেল। ডিজেল ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে। পেট্রল ১০০ ছুঁই ছুঁই। মিথ্যাবাদী বিজেপি, বলেছিলে, সব দেব দেব। রামকেও তো দিচ্ছ না। ধনুক দেবে, তাও দিলে না। শুধু খঞ্জনf বাজিয়ে ছেড়ে দিলে।’ তবে অনুব্রতর বৈঠকে শতাব্দীর এই হাজির থাকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার বীরভূমের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল শতাব্দীকে। গত লোকসভা ভোটের আগে শেষবার দুজনকে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় কিছুটা বেসুরো হলেও পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন বলে জানিয়েও দিয়েছিলেন। এরপরে অবশ্য শতাব্দীকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শোনা যায়নি।
যায়নি।