বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল ও শতাব্দী রায় দুজনে দুই মেরুতে থাকতেন বলেই রাজনৈতিক মহলের আলোচনা। তবে সেই দোর্দন্ডপ্রতাপ কেষ্ট মণ্ডল বর্তমানে জেলে রয়েছেন। গরু পাচার মামলায় তিনি গরাদের ওপারে। কিন্তু বীরভূমে দল কীভাবে চলছে? এবার এনিয়ে মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
তবে গরু পাচার মামলায় সাক্ষী দেওয়ার প্রসঙ্গ কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে শতাব্দী বলেন,যা যা গল্প বলুন না। আমার বেশ মজা লাগে শুনতে। মহাভারত রচনা করুন না। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরে একের পর এক নেতার মুখ খোলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, কিছু সমস্যা হচ্ছে। এটা হয়েই থাকে। বড় সংসারে হয়। অনেক রকম মান অভিমান থাকে। সেগুলি সামলে উঠবে। রাজনীতির দল এমন করেই চলে। প্রিয়-অপ্রিয় হয়ে যায়। আবার বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
অন্যদিকে কেষ্ট মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ দল ছাড়েননি। যেরকমভাবে চলার সেভাবেই চলছে। কেষ্টদাকে সঙ্গে রেখেই সব চালাচ্ছে। কেষ্টদাকে ছেড়ে কেউ চালাচ্ছে না। কেষ্টদাকে তো কেউ ভুলে যায়নি। বা কেষ্টদা ছেড়ে দেয়নি। কেষ্টদা যেমন ভাবে ছিল তেমনভাবেই আছে। হয়তো এই মুহূর্তে ফিজিক্যালি নেই। কিন্তু তাঁর মতামত নিয়েই দল চলছে। জানিয়ে দিলেন শতাব্দী।
এদিকে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, বীরের সম্মান দেওয়া হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। কার্যত বীরভূমে তৃণমূলের রাজনীতিতে যে শেষ কথা এখনও অনুব্রত মণ্ডলই সেটাই কার্যত এদিন স্পষ্ট করে দিলেন শতাব্দী রায়।