একুশের ভোটের আগে বঙ্গ সফরে এসে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও দলকে ‘চাল চোর’, ‘রেশন চোর’, 'কাটমানির সরকার' বলে কটাক্ষ করেছেন। এই বঙ্গ সফরে এসে যাতে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বাড়তি প্রচারের আলো কেড়ে নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। নড্ডার এবারের সফরের পালটা দিল রাজ্যের শাসকদলও।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের প্রথমসারির একাধিক নেতা। দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, ‘জেপি নড্ডা একজন জোকার। জঘন্য কথাবার্তা বলেন। বিজেপি আসলে নীরব মোদীদের দল। ব্যাঙ্ক চোরদের দল।’ শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করেছেন সৌগত রায়। অমিত শাহকে ‘পেট মোটা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাড়ি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীও দাড়ি রাখছেন, রামছাগলও দাড়ি রাখে।’
শনিবার জেপি নড্ডার বঙ্গ সফরের মূল লক্ষ্যই হল বাংলার কৃষকদের মন জয় করা। ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ এবং ‘একমুঠো চাল সংগ্রহ’ অভিযানের সূচনা করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু নড্ডার এই কৃষকপ্রীতি যে নেহাতই ‘লোক দেখানো’ এদিন সেটাই বললেন তৃণমূল নেতারা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এত দূরের পথ বেয়ে ওঁর বাংলায় আসার সময় হয়। অথচ, মাত্র ৪০ মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারেন না।’ তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও টুইট করে দাবি করেছেন, ‘এক ‘ম’ কৃষকদের কথা ভাবেন না। আর এক ‘ম’ কৃষকদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন।’ প্রথম ‘ম’ অর্থাৎ মোদীর সঙ্গে দ্বিতীয় ‘ম’ অর্থাৎ মমতার কাজের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন তিনি।