দলের শিক্ষক সমিতিতে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর মতে, দলবাজি করা আর সমান্তরাল সংগঠন চালানো এক জিনিস নয়। যারা দলের দুঃসময়ে শিক্ষকদের নিয়ে সংগঠন করেছেন তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে। সম্মান দিতে হবে। নাহলে সংগঠন করার কোনও অর্থ হয় না। প্রশ্ন করেন, একই সংগঠনের দুটি অনুষ্ঠান কেন?
শনিবার মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির একটি অনুষ্ঠানে আসেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সেখানেই শিক্ষক সমিতির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংগঠনে পুরনো লোককে গুরুত্ব দিতে হবে। পুরনো লোককে গুরুত্ব না দিলে সংগঠন কথনোই মজবুত হতে পারে না। একইসঙ্গে তিনি জানান, কোনও সংগঠন থাকলে দলবাজি থাকবে। তবে দলবাজি আর সমান্তরাল সংগঠন চালানো এক জিনিস নয়। সমান্তরাল সংগঠন চালানো উচিত নয়। তৃণমূল সাংসদ স্পষ্টতই জানান, তিনি গোটা বিষয়টি নেতৃত্বকে জানাবেন। পাশাপাশি তিনি সংগঠনের প্রতিনিধিদের বলেছেন যাতে পুরো বিষয়টি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কয়েদিন আগেই মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে সংগঠনের একটি অংশ শিক্ষক দিবস পালনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তখন আলাদা করে সংগঠন করার জন্য সেই প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করেন তিনি। তখন একই সংগঠনের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন চালানো নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি। সৌগতের বক্তব্য, তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান হিসাবে সম্রাট চট্টোপাধ্যায়কেই তিনি জানেন। ২০০৬ সালে তিনি যখন বনগাঁর বিধায়ক ছিলেন, তখন থেকেই সম্রাটকে শিক্ষক সংগঠন করতে দেখতেন তিনি।